1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কম্পিউটারের পর এবার জ্বালানির জগতেও বিপ্লব আনতে চান বিল গেটস

২৪ মার্চ ২০১০

বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় একচেটিয়া অধিকার কায়েম করার পর বিল গেটস এবার তাঁর জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় সুলভে পরমাণু বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/MaU6
এখনো পর্যন্ত সাফল্য তাঁর পিছু ছাড়ে নিছবি: AP

উন্নয়নের জন্য জ্বালানির প্রয়োজন৷ এদিকে জ্বালানির বেড়ে চলা ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাবের অন্যতম কারণ৷ তাহলে কি পরিবেশের স্বার্থে অনগ্রসর এলাকায় উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত? না, বিল গেটস'এর জবাব তা নয়৷ তিনি পরিবেশের ক্ষতি না করে সুলভে জ্বালানি উৎপাদন করতে চান৷ জাপানের বহুজাতিক তোশিবা'র সঙ্গে একযোগে তিনি ‘টেরাপাওয়ার' নামের এক প্রকল্পের মাধ্যমে এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করতে চান৷ এই উদ্যোগের আওতায় এমন ‘মিনি' পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, যা বিশ্বের জ্বালানি সমস্যার সমাধান করবে বলে দাবি করা হচ্ছে৷

প্রস্তাবিত এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য কী? এই ‘ট্রাভেলিং ওয়েভ রিয়্যাক্টর'এর মধ্যে যে উপাদান থাকবে, তা কয়েক দশক ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাবে৷ এই চুল্লি চালু রাখতে অতি সামান্য পরিমাণ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হবে৷ এমনকি কোন রক্ষণাবেক্ষণেরও নাকি প্রয়োজন হবে না৷ অতএব সাধারণ পরমাণু চুল্লির ক্ষেত্রে পরমাণু আবর্জনা ফেলার যে সমস্যা রয়েছে, এক্ষেত্রে তাও থাকবে না৷ ছোট আকারের এই চুল্লির জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন হবে না৷ এর নিরাপত্তা নিয়েও বেশী চিন্তা করতে হবে না৷ ‘টেরাপাওয়ার' ব্যাপক আকারে এমন ‘মিনি' পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার উদ্যোগ শুরু করছে৷

এমন সহজ এক পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধারণা কিন্তু নতুন নয়৷ কাগজে-কলমে এমন প্রযুক্তির কথা বহুকাল ধরেই জানা ছিল৷ কিন্তু গবেষণাগারে ‘সিমুলেশন'এর বাইরে আজ পর্যন্ত এমন একটি কেন্দ্রও গড়ে তোলা সম্ভব হয় নি৷ এমনকি ‘টেরাপাওয়ার'ও বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে শুধু এক সুপার-কম্পিউটারের মাধ্যমে ‘ট্রাভেলিং ওয়েভ রিয়্যাক্টর'এর একটা রূপরেখা সৃষ্টি করতে পেরেছে৷ এই মডেল অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রায় ১০০ কোটি ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে৷

বিল গেটস – এই নামের সঙ্গে এতকাল শুধু সাফল্য জড়িয়ে রয়েছে৷ এবারেও কি তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন তিনি?

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই