1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা-ইয়াস বিধ্বস্তদের পাশে শিল্পীরা

১ জুন ২০২১

বাড়িয়ে দিলেন তাদের হাত। করোনা ও ইয়াসে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের গায়ক-গায়িকা, শিল্পী, অভিনেতারা।

https://p.dw.com/p/3uGHF
ইয়াসে বিধ্বস্ত মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ালেন গায়ক-গায়িকারা।ছবি: Syamantak Ghosh/DW

রাজ্যের গায়ক-গায়িকারা ঠিক করেছেন, অনলাইন অনুষ্ঠান করে টাকা তুলবেন। তারপর নিজেরা গিয়ে সেই টাকা দিয়ে আসবেন ইয়াস ও করোনা বিপর্যস্ত গরিব মানুষদের।

সেই গায়ক-গায়িকাদের মধ্যে আছেন অনুপম রায়, রূপঙ্কর বাগচী, মনোময় ভট্টচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, জয় সরকার, শ্রীকান্ত আচার্য, ইমন চক্রবর্তী, জয়তী চক্রবর্তী সহ অনেকে। অনুষ্ঠানের নাম, 'বাড়িয়ে দাও তোমার হাত'। অনুপম রায়ের একটি জনপ্রিয় গানের প্রথম লাইন।

আগামী ২১ জুন অনলাইনে এই অনুষ্ঠান দেখা যাবে। টিকিট ৩০০ টাকা। সাতদিন ধরে দেখা যাবে এই অনুষ্ঠান। যে টাকা উঠবে তা শিল্পীরা নিজেরা গিয়ে দিয়ে আসবেন দুর্গত মানুষদের। অতীতেও অভিনেতা-শিল্পীরা এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। উত্তম কুমার, বিকাশ রায়, সুপ্রিয়া দেবী সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা খরা বা বন্যাত্রাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। কৌটো নিয়ে মানুষের কাছে গেছেন। সেই টাকা তারা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বা অন্য কোনো সংস্থাকে, যারা বন্যাত্রাণ করছে।

এবার করোনাকালে সেই পদ্ধতিতে টাকা তোলা সম্ভব নয়। তাই মনোময় ভট্টাচার্যের পরিকল্পনায় সায় দিয়ে গায়ক-গায়িকারা একজোট হয়েছেন, গান শুনিয়ে অর্থ সংগ্রহের জন্য। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে আধুনিক সব গানই তারা গাইবেন।

ডয়চে ভেলেকে অনুপম রায় জানিয়েছেন, ''করোনা ও ইয়াসের প্রকোপে মানুষ দুর্দশার মধ্যে আছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা শিল্পীরা একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি। তার মধ্যে একটা উদ্যোগ হলো এইটা। রূপঙ্করদা, মনোময়দা, লোপাদি সহ অনেকেই এর মধ্যে আছেন। সবাই মিলে কনসার্ট করে সেই টাকা ত্রাণের জন্য ব্যবহার করব।''

অনুপম জানিয়েছেন, ''আমরা নিজেরা গিয়ে করোনা ও ইয়াসে বিধ্বস্ত মানুষদের ত্রাণ দিয়ে আসব। এই ধরনের অনেকগুলি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই একবার সুন্দরবনে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছি। অনেক অভিনেতা এগিয়ে এসেছেন। এটা যত বাড়ানো যাবে, ততই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা সম্ভব হবে।''

এভাবেই শিল্পীরা তাদের দায়বদ্ধতা পালন করতে চাইছেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)