1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার ডেল্টা সংস্করণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ম্যার্কেল

১১ জুন ২০২১

জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত কমতে থাকলেও চরম ছোঁয়াচে ডেল্টা সংস্করণ সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ টিকাদান কর্মসূচির দ্রুত গতি ও বুস্টার ডোজের উপর জোর দিচ্ছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3uk59
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

করোনা সংকটের সময় বার বার দেখা গেছে যে, সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমার ফলে প্রশাসন ও মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে৷ কিন্তু কিছুকাল পর আবার নতুন রূপে মাথাচাড়া দিয়েছে এই ভাইরাস৷ তাই জার্মানি তথা ইউরোপে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সত্ত্বেও অদূর ভবিষ্যতে নতুন বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ বিশেষ করে করোনা টিকা দেবার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্য সত্ত্বেও ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা সংস্করণ দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ায় ইউরোপেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷

এমনই প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে ধারাবাহিকভাবে করোনা সংক্রমণের হার কমে চলায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বৃহস্পতিবার তিনি ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর বলেন, গত কয়েক মাসে নেওয়া পদক্ষেপগুলির সুফল পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে একইসঙ্গে ম্যার্কেল মনে করিয়ে দেন, যে করনো ভাইরাস মোটেই উধাও হয়ে যায় নি৷ বিশেষ করে প্রথমবার ভারতে শনাক্ত হওয়া চরম ছোঁয়াচে ডেল্টা সংস্করণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷ ব্রিটেন ও ভারত ভ্রমণের উপর জার্মান সরকারের বাধানিষেধের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ চলতি বছরের হেমন্ত কালেই বয়স্কদের জন্য টিকার বুস্টার ডোজের মাধ্যমে ডেল্টা সংস্করণ মোকাবিলার সম্ভাবনার উল্লেখ করেন তিনি৷

এই মুহূর্তে জার্মানিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে মাত্র আড়াই শতাংশের ক্ষেত্রে সেই সংস্করণ চিহ্নিত হয়েছে বলে ম্যার্কেল স্বস্তি প্রকাশ করেন৷ তাঁর মতে, সেই সংস্করণের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে খুশি হওয়া উচিত৷ নতুন বিপদ দূরে রাখতে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল টিকাদানের দ্রুত গতির উপর জোর দেন৷ উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত জনসংখ্যার প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ এবং প্রায় ২৪ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গেছেন৷

প্রায় আট মাস পর জার্মানিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার ২০-এর নীচে নেমে গেছে৷ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও সেই হার ছিল প্রায় ৩৪৷ টিকাদান কর্মসূচির গতিও পরিস্থিতির উন্নতির পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে৷ বৃহস্পতিবার থেকে ধাপে ধাপেটিকা নেবার প্রমাণ হিসেবে ডিজিটাল সার্টিফিকেট চালু করার কাজ শুরু হয়েছে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যগুলিতে টিকার প্রমাণ হিসেবে কিউআর কোড বিতরণ শুরু হবে৷ মোবাইল ফোনের বিশেষ অ্যাপ অথবা কাগজের মাধ্যমেও সেই প্রমাণ দেখানো যাবে৷ ফলে টিকাপ্রাপ্তরা সহজেই বিনা বাধায় নিয়ন্ত্রিত জায়গায় প্রবেশের অধিকার পাবেন৷ যারা আগেই টিকার সব ডোজ পেয়ে গেছেন, তারা ওষুধের দোকানে গিয়ে কিউআর কোড সক্রিয় করার সুযোগ পাবেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)