1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা ভাইরাস: চীনে এক দিনে ৬৫ জনের মৃত্যু

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় পাঁচশতে পৌঁছে গেল৷ চীনের হুবেই প্রদেশে একদিনে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ফলে সবমিলিয়ে করোনা ভাইরাসে ৪৯০ জনের মৃত্যু হল৷ 

https://p.dw.com/p/3XHav
ছবি: picture-alliance/TPG

উহান নয়, এখন চীনের হুবেই থেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের খবর বেশি করে আসছে৷ মঙ্গলবার হুবেইতে মোট ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ করোনা ভাইরাসের উপদ্রব শুরু হওয়ার পর একদিনে সব থেকে বেশি মৃত্যুর খবর এল হুবেই থেকেই৷ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে৷ 

চীনের বাইরে সব চেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জাপানের মানুষ। সেখানে ইতিমধ্যে ৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই আছে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর৷ সেখানে ২৫ ও ২৪ জন এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন৷ ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জার্মানিতে৷ আক্রান্তের সংখ্যা ১২৷ বেলজিয়ামে এই প্রথম এক জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে৷ উহান থেকে মোট নয় জন বেলজিয়াম ফিরেছিলেন, তার মধ্যেই একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷

এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা এখনও বিশ্বজুড়ে ছড়ায়নি৷ চীনের মূল ভূখণ্ড বাদ দিলে বাকি দেশে ১৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ এর মধ্যে অবশ্য জাপানের প্রমোদতরীতে দশ জন আক্রান্তকে ধরা হয়নি৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু দাবি করেছে, ভাইরাসের মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট ভাল কাজ করছে চীন৷ তবে বিশ্বের কিছু ধনী দেশ করোনায় আক্রান্তদের খবর দিতে অনেক দেরি করছে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা করোনা নিয়ে আরেকটা সাবধানবাণী শুনিয়েছেন৷ সম্প্রতি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, কারও চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না৷ উদাহরণ হিসেবে জার্মানিতে আসা চীনের এক ভদ্রমহিলার কথা বলা হয়েছে। যাঁর প্রভাবে জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ ফেরার বিমান ধরার সময় ওই ভদ্রমহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, সকলেরই সাবধান হওয়া উচিত এবং এই ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি পালন করা উচিত৷

ভারতও এখন করোনাকে ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে৷ উহান থেকে ৬৪৭ জন ভারতীয়কে উড়িয়ে আনার পর চীন থেকে আসা সব বিদেশির ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে৷ ই ভিসার সুবিধা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ যাঁরা চীন থেকে ১৫ জানুয়ারির পর ভারতে এসেছেন, তাঁদের অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে৷ এরই মধ্যে নয়া দিল্লিতে চীনের রাষ্ট্রদূত সান উইডং মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ সেখানে উহান ফেরত ভারতীয় ছাত্রদের ছুটি বাড়াবার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব৷ চীন করোনা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটাও জানিয়েছেন সান৷ এর পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হংকং এর বিমানও বাতিল করবে৷

করোনার প্রভাব এ বার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির ওপরও ভালোভাবেই পড়ছে৷ চীনের অবস্থা তো শোচনীয়৷ আগামী তিন মাসে প্রতিটি সংস্থার আয় কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ইটালিতে পর্যটক আসা কমে গিয়েছে৷ এর ফলে ৪৫০ কোটি ইউরো ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইটালির জিডিপির ৫ শতাংশ আসে পর্যটকদের কাছ থেকে৷ ফলে তাদের ধাক্কাটা ভালোরকম লাগবে৷ অন্য যে সব দেশে প্রচুর পর্যটক যান, তারাও আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়বে৷

জিএইচ/এসজি (নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি, রয়টার্স, এপি)