1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংকটের ভয়াবহ পরিণাম তুলে ধরছে বিশ্বব্যাংক

৩১ মার্চ ২০২০

পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাষ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক৷ চরম বেকারত্ব, দারিদ্র্য, মন্দার মতো নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে৷ জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠী সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে৷

https://p.dw.com/p/3aEOY
ছবি: AFP/Getty Images/E. Baradat

করোনা সংকটের ফলে অর্থনৈতিক সংকটের নানা দৃষ্টান্ত ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ এবার বিশ্বব্যাংক বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলো৷ চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপক মাত্রায় কমে যাবে বলে বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে৷ সেই মন্দার জের ধরে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যেতে পারে৷ ২০১৯ সালে গড় প্রবৃদ্ধির মাত্রা যেখানে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ ছিল, চলতি বছর তা কমে দুই দশমিক এক শতাংশ ছুঁতে পারে৷

করোনা সংকটের মেয়াদ সম্পর্কে এখনো কোনো পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে না৷ অদূর ভবিষ্যতে ওষুধ অথবা টিকার মাধ্যমে করোনার মোকাবিলা করা সম্ভব হলে অর্থনীতি আবার চাঙ্গা করে তোলার প্রচেষ্টা সফল হতে পারে৷ কিন্তু এই সংকট আগামী বছর পর্যন্ত গড়ালে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক৷ আপাতত শুধু এশিয়া সম্পর্কে পূর্বাভাষ দিলেও ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের পরিস্থিতিও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে৷ তবে এশিয়ার করুণ পরিস্থিতি যে বিশ্ব অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, যে মন্দা শুরু হয়ে গেছে৷

এমন নেতিবাচক চিত্র সত্ত্বেও কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিশ্বব্যাংকের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান অর্থনীতিবিদ আদিত্য মাট্টু বলেছেন, প্রত্যেক দেশ শুধু এককভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা করে তোলার চেষ্টা করলে লাভ নেই৷ সেইসঙ্গে গভীর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ তবেই এমন হুমকি দূর করা যেতে পারে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বিশ্বব্যাংক আপাতত এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার অঙ্কের জরুরি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছে৷ আগামী ১৫ মাসের মধ্যে সেই অঙ্ক বেড়ে ১৬ হাজার কোটি ছুঁতে পারে৷

চলমান সংকটের মাঝে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে জি-টোয়েন্টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা একযোগে উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক বৈঠকে তাঁরা পুঁজিবাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ অনেক দেশে জাতীয় সীমান্ত বন্ধ থাকায় বাণিজ্যের পথে বাধা সৃষ্টি হলেও বিশেষ করে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মেনেই সাময়িক উদ্যোগের মাধ্যমে অবিলম্বে সেই লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ উল্লেখ্য, জি-টোয়েন্টি নেতারা বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা করতে গত সপ্তাহে পাঁচ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয়ের অঙ্গীকার করেছিলেন৷

নীতিগত ঐকমত্য সত্ত্বেও বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে বিভাজন দূর হচ্ছে না৷ যেমন ফ্রান্স, জার্মানি ও ভারত বর্তমানে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের রপ্তানি বন্ধ রেখেছে৷ জি-টোয়েন্টি আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার ডাক দেয় নি৷ মার্কিন প্রশাসনও ‘বাই অ্যামেরিকা’ বিধির আওতায় একমাত্র দেশে তৈরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য চাপ দিতে চলেছে৷ অনেক মার্কিন কোম্পানির আশঙ্কা, এর ফলে ওষুধপত্রের অভাব দেখা দেবে৷ উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উৎপাদন ও সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে যাবার ফলে এমনিতেই অভাব-অনটন দেখা যাচ্ছে৷

এসবি/কেএম (এপি, রয়টার্স)

২০ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য