1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংকটে সমস্যায় চিড়িয়াখানার প্রাণীও

২১ জুলাই ২০২০

করোনা সংকটে শুধু মানুষ নয়, অনেক চিড়িয়াখানাও সংকটে পড়েছে৷ দর্শকদের প্রবেশ বন্ধ থাকায় প্রাণীদের খোরাক ও কর্মীদের পারিশ্রমিক অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে৷ ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ বেলিজের একটি চিড়িয়াখানা এরই মধ্যে আশার আলো দেখেছে৷

https://p.dw.com/p/3fdNu
Der Zoo von Belize
ছবি: DW/K. Döhne

কর্মী হিসেবে রক্সি লেমাস বেলিজের চিড়িয়াখানয় সেই সব জাগুয়ারদের দেখাশোনা করেন, যাদের নিয়ে সমস্যা রয়েছে৷ এই সব প্রাণী প্রকৃতির কোলে মানুষের কাছাকাছি চলে এসে কুকুর বা মুরগি শিকার করেছিল৷ মানুষের বুলেটের হাত থেকে এমন সব জাগুয়ার বাঁচাতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেগুলিকে আশ্রয় দেয়৷ রক্সিকে ভালোভাবে চিনলেও আজ প্রাণীগুলি খুব একটা গ্রাহ্য করছে না৷ আসলে মুখের উপর মাস্ক মোটেই পছন্দ নয়৷

জাগুয়ারগুলিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতেই রক্সিকে মাস্ক পরতে হয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানায় কয়েকটি বাঘ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ রক্সি জানালেন, ‘‘মাস্ক পরলে প্রথমদিকে প্রাণীগুলি চিনতেই পারে না৷ আসলে দুই পক্ষকেই এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে৷ আমাদের মাস্ক পরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে হচ্ছে, প্রাণীদেরও এমন দৃশ্যে অভ্যস্ত হতে হচ্ছে৷’’

শুধু দেশ হিসেবে বেলিজ নয়, চিড়িয়াখানার মধ্যেও জরুরি অবস্থা চলেছে৷ জাতীয় স্তরে লকডাইন শিথিল করা পর্যন্ত আইন করে চিড়িয়াখানায় দর্শকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷

দুঃস্থ প্রাণীদের চিড়িয়াখানা!

এই চিড়িয়াখানা আসলে একটি এনজিও৷ সেখানে শুধু দেশের নিজস্ব প্রাণী দেখা যায়৷ সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগকেই প্রতিকূল অবস্থা থেকে বাঁচানো হয়েছে৷ অনেক প্রাণী বিভিন্ন কারণে প্রকৃতির মধ্যে আর স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে পারে না৷ রক্সি লেমাস বলেন, ‘‘কোভিড ১৯ ভাইরাস শুধু চিড়িয়াখানার আয়ের ক্ষতি করেনি, এখানকার কর্মীদেরও ক্ষতি হয়েছে৷ কারণ অর্থের অভাবে আমাদের কর্মীদের কাজের দিন কমাতে হয়েছে৷''

চিড়িয়াখানার সবচেয়ে নতুন আকর্ষণ হলো রেঞ্জার নামের টকটকে লাল রঙের আরা প্রজাতির টিয়াপাখি৷ সেটি আর উড়তে পারে না৷ এটিই সম্ভবত একমাত্র প্রাণী, মাস্ক দেখলে যার কিছু যায় আসে না৷

প্রায় ৪০ বছর আগে শ্যারন মাটোলা এই চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ তবে তিনি এখনকার মতো কখনো এত নিঃসঙ্গ বোধ করেননি৷ শ্যারন বলেন, ‘‘যা ঘটছে, সে বিষয়ে প্রাণীদের কোনো ধারণা নেই, যা সত্যি মজার বিষয়৷ কিন্তু আমাদের তো পরোয়া করতেই হয়৷ কারণ সব প্রাণীকে খোরাক দিয়ে সেগুলির স্বাস্থ্য ভালো রাখা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ৷ বেলিজের মানুষকে ধন্যবাদ৷ তারা জাগুয়ারদের পছন্দের খোরাক হিসেবে শুকরের মাথা দান করেছে৷''

স্থানীয় কসাইরা মাংসের বর্জ্য অংশগুলি চিড়িয়াখানায় দান করেছেন৷ জাগুয়ারদের কাছে যে খোরাক খুবই সুস্বাদু৷ শুধু মাংস নয়, দান হিসেবে আখ ও ঘাসপাতাও চিড়িয়াখানায় এসেছে, যা দিয়ে একটি টেপিরের প্রায় ৩০ কিলো দৈনিক খোরাক জোগান দেওয়া সম্ভব৷

কাটিয়া ড্যোনে/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান