করোনা সংকট মোকাবিলায় অ্যাপ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে নজরে রাখতে বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা অ্যাপ৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
জার্মানি
জার্মানির জনসংখ্যার মোট ২০ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছে জার্মানির করোনা বিষয়ক অ্যাপ ‘করোনা ওয়ার্ন’৷ এক কোটি ৬২ লাখবার ডাউনলোড হওয়া এই অ্যাপে রয়েছে নানা প্রযুক্তগত সমস্যা, জানাচ্ছে জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ অ্যাপ তার সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতায় তখনই পৌঁছতে পারবে যখন দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ তা ব্যবহার করবে, জানাচ্ছে মন্ত্রণালয়৷
ফ্রান্স
ফ্রান্সের ‘স্টপ কোভিড’ অ্যাপের মূল কাজ হচ্ছে করোনা সংক্রমিত মানুষ কোথায় রয়েছেন এবং কার সংস্পর্শে এসেছেন, তার খোঁজ রাখা৷ এই অ্যাপটি মে মাসে বাজারে আসে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর৷ জুন মাস পর্যন্ত ২০ লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে এই অ্যাপটি৷
যুক্তরাজ্য
করোনা সংক্রমণে বিধ্বস্ত যুক্তরাজ্যে একই ধারার অ্যাপ চালু করবার আলোচনা চলছিল মার্চ মাস থেকেই৷ ‘এনএইচএস কোভিড ১৯’ অ্যাপটি এখনও বাজারে আসেনি, কিন্তু জনগণের পক্ষে এই অ্যাপ চালু করা নিয়ে চাপ রয়েছে কর্তৃপক্ষের ওপর৷ তার কারণ, মাথাপিছু করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার যুক্তরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি৷
অস্ট্রেলিয়া
‘কোভিড সেইফ’ অ্যাপটির কাজও হচ্ছে ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ বা সংক্রমণের পথ সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে সাবধান করা৷ এই অ্যাপে একটানা ২১ দিনের তথ্য রেকর্ড করা থাকে, যা ব্যবহারকারীকে জানাবে এই সময়ের মধ্যে কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে তিনি এসেছেন কি না৷ ২১ দিন পর সেই তথ্য আপনা থেকেই মুছে দেয় অ্যাপটি৷
সিঙ্গাপুর
একটানা ২৫ দিন ধরে সংক্রমণ সম্পর্কিত তথ্য রাখে সিঙ্গাপুরের কোভিড বিষয়ক অ্যাপ ‘ট্রেস টুগেদার’৷ এই অ্যাপে রাখা তথ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছেই থাকে এবং অ্যাপের ওয়েবসাইট বলছে, মহামারী শেষ হলে এই অ্যাপও মুছে দেওয়া হবে৷
ভারত
ভারতের করোনা-অ্যাপ ‘আরোগ্য সেতু’ এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশিবার ডাউনলোড হওয়া করোনা-অ্যাপ৷ এর কারণ ভারতের বিশাল জনসংখ্যাও৷ পাশাপাশি, এই অ্যাপ ফোনে না থাকলে এক শহর থেকে আরেক শহরে এবং এক দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা আছে৷ এই অ্যাপ এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটিবার ডাউনলোড করা হয়েছে, জানাচ্ছে প্রযুক্তসংস্থা সেনসর টাওয়ার৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
‘এক্সপোজার নোটিফিকেশন এপিআই’, যা ইতিমধ্যে বিশ্বের বহু দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত হচ্ছে এক এক রাজ্যের এক এক নিয়মে৷ দেশজুড়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ না থাকায় রাজ্যগুলি নিজেদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এই অ্যাপ দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন৷
চীন
করোনা সংক্রমণের উৎসকেন্দ্র চীনে রয়েছে একাধিক করোনা-অ্যাপ৷ পশ্চিমা বিশ্ব যেখানে জোর দিয়েছে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখায়, সেখানে চীনের একটি অ্যাপে সংরক্ষিত থাকছে ব্যবহারকারীর চলাফেরার সম্পূর্ণ হিসাব৷ জাপান টাইমসকে এবিষয়ে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চুই শিয়াওহুই বলেন, ‘‘চীনা ও পশ্চিমা সংস্কৃতি আলাদা৷ এখানে মানুষ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সরকারকে দিতে পিছপা হয়না৷’’