1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে

১২ আগস্ট ২০২০

স্পেনের মাদ্রিদ ও বাস্ক প্রদেশেও করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার ফলে সতর্কতা জারি করেছে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ খোদ জার্মানিতেও সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷ বিশ্ব পরিস্থিতিও শঙ্কার মুখে৷

https://p.dw.com/p/3gpDx
ছবি: Reuters/F. Bensch

করোনা সংকটে কোনো অবস্থাই যে স্থায়ী নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণের হার মাথাচাড়া দিয়ে বার বার তা দেখিয়ে দিচ্ছে৷ ইউরোপেও এমন কিছু অঞ্চল দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে৷ স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদকে ঘিরে গোটা অঞ্চল এবং উত্তরে বাস্ক প্রদেশে পরিস্থিতির অবনতির কারণে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দুই অঞ্চলে জার্মান নাগরিকদের ভ্রমণ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে৷ উল্লেখ্য, জুলাই মাসের শেষ থেকেই কাটালুনিয়া ও সংলগ্ন দুই প্রদেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল জার্মানি৷

সাধারণত সাত দিনের মধ্যে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৫৯ জনেরও বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জার্মানি এমন সতর্কতা জারি করছে৷ বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঁচটি দেশের কিছু অঞ্চল অথবা গোটা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ আপাতত স্পেন, লুক্সেমবুর্গ, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া সেই তালিকায় রয়েছে৷

খোদ জার্মানির পরিস্থিতিও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে৷ মে মাসের শুরুতে দৈনিক সংক্রমণের হার তুঙ্গে ওঠার পর তা আবার কমে আসছিল৷ এখন আবার সেই মাত্রা ছোঁয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী জার্মানিতে দিনে ১,২২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান এমন বৃদ্ধি সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন৷ বুধবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সংক্রমণের হারে রাশ টানতে পারলে ভালো হয়৷ কারণ সেই সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷

এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের গতি সম্পর্কে নতুন তথ্য উঠে আসছে৷ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এক কোটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটতে প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছে৷ কিন্তু মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে৷ গত সোমবারই ২ কোটিরও বেশি মানুষের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে৷ তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল – এই তিনটি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন৷ জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে এই হিসেব প্রকাশ করেছে৷

দৈনিক নতুন সংক্রমণের হারের বিচারে আপাতত তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত৷ সে দেশে দিনে গড়ে প্রায় ৫৯,০০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন৷ অ্যামেরিকা ও ব্রাজিলে সেই সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪,০০০ ও ৪৪,০০০৷ বিশেষ করে অ্যামেরিকার মতো ধনী ও শক্তিশালী দেশে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তা বিস্ময়ের কারণ হয়ে উঠেছে৷ সেদেশে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের করোনায় মৃত্যু হয়েছে৷

করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করার ক্ষেত্রেও বিশ্বজুড়ে সংশয় রয়েছে৷ অ্যামেরিকার মতো দেশেও আক্রান্তদের আসল সংখ্যা সম্ভবত দশ গুণেরও বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ মার্কিন প্রশাসনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি এমনটা মনে করছে৷ করোনা পরীক্ষার অপর্যাপ্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি হালকা উপসর্গের কারণে চোখ এড়িয়ে যাবার মতো ঘটনা হিসেবে গরমিলের জন্য দায়ী বলে সিডিসি মনে করছে৷ অনেক ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত হলেও মানুষের মনে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ দেখা দিচ্ছে না৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

রবিবারের ছবিঘরটি দেখুন...