1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কর্মীদের ক্লান্তি দূর করে এক্সোস্কেলেটন

২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঘরবাড়ি তৈরি, রং করা, বাথরুম ফিটিং বসানো ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের জন্য শারীরিক পরিশ্রম প্রয়োজন৷ এসব কাজ বেশ ক্লান্তিকরও৷ গবেষকরা কর্মীদের এই ক্লান্তি দূর করতে চান৷ তাই তারা এক্সোস্কেলেটন নিয়ে গবেষণা করছেন৷

https://p.dw.com/p/40Xeq
Spinale Muskelatrophie - Exoskelett
ছবি: PAU BARRENA/AFP/Getty Images

জার্মানির হেলমুট শ্মিড্ট ইউনিভার্সিটির রোবোটিক্স অ্যাণ্ড অটোমেশন বিভাগে অধ্যাপক রবার্ট ভাইডনার ও তার দল চার বছর ধরে এক্সোস্কেলেটন নিয়ে গবেষণা করছে৷ শরীর বাঁকানো, ভারী বস্তু তোলা কিংবা হাঁটু গেড়ে বসার সময় শরীরকে একটু স্বস্তি দিতে সহায়তা করে এক্সোস্কেলেটন৷

অধ্যাপক ভাইডনার বলেন, ‘‘আমরা এমন কোনো এক্সোস্কেলেটনের খবর জানিনা যেটা একসঙ্গে শরীরের অনেক অংশকে স্বস্তি দেয়৷ এক্সোস্কেলেটন সাধারণত শরীরের একটি অংশের জন্য কাজ করে৷ যেমনটা এখানে দেখতে পাচ্ছেন৷ প্রথম তিনটি ঘাড়ের জন্য, বাকিগুলো পিঠের বিভিন্ন অংশকে সহায়তা করে৷''

কিছু এক্সোস্কেলেটন নরম বেল্ট দিয়ে বাঁধা যায়, আর কিছুর জন্য মেটালের শক্ত বেল্ট প্রয়োজন হয়৷ প্যাসিভ মডেলের এক্সোস্কেলেটন যেমন আছে, তেমন আছে মোটরযুক্ত অ্যাক্টিভ মডেলের এক্সোস্কেলেটন৷ নির্মাণকাজের মতো বিভিন্ন কাজের জন্য কোন সিস্টেমের এক্সোস্কেলেটন প্রয়োজন তা জানতে গবেষণা চলছে৷

পিএইচডি শিক্ষার্থী শেসুন ইয়াও একটি এক্সোস্কেলেটন বানিয়েছেন যার সঙ্গে মোটর লাগানো আছে৷ এটি ভারী বস্তু তোলার সময় হাত ও পিঠের ক্লান্তি দূর করার কথা৷

পরীক্ষা শুরুর আগে বায়োমেকানিক গবেষক টিম শুবার্ট শেসুন ইয়াও শরীরের এমন সব জায়গায় রিফ্লেক্টিভ মার্কার বসান যেগুলো ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়৷ নড়াচড়া করার সময় শরীরের কোন অংশ কোথায় যাচ্ছে তার তথ্য রাখে মার্কার৷ আর ক্যামেরা সেই মোশন প্যাটার্ন কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়৷ এছাড়া ত্বকের উপর সেন্সর বসানো হয়, যা পেশির নড়াচড়ার তথ্য কম্পিউটারে পাঠায়৷

এরপর শেসুন ইয়াও দশ কেজির বাক্স বাম থেকে ডানে সরানো শুরু করেন৷

অধ্যাপক ভাইডনার বলেন, ‘‘এর মাধ্যমে আমার বোঝার চেষ্টা করি, এই সিস্টেম একজন নির্মাণ শ্রমিকের ক্লান্তি কতটা কমাতে পারে৷ এছাড়া আমরা এটাও জানতে চাই, এর ফলে মানুষের নড়াচড়ায় কতটা পরিবর্তন আসতে পারে৷''

এক্সোস্কেলেটন যদি মানুষের স্বাভাবিক নড়াচড়ায় পরিবর্তন আনে তাহলে সেটা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জোড়ার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে৷

পরীক্ষা শেষে টিম শুবার্ট জানান, এক্সোস্কেলেটনের কারণে ক্লান্তির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে৷ এর মানে হচ্ছে, বাক্স যখন তোলা হচ্ছে তখন এটি আড়াই থেকে তিন কেজি হালকা মনে হয়৷ আর অন্য পরীক্ষায় দেখা গেছে, এক্সোস্কেলেটন স্বাভাবিক নড়াচড়ায় পরিবর্তন আনছে না৷

টিমোথি ভিন/জেডএইচ