1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতার মানুষদের কাছে নানা উপচারে এক টুকরো বাংলাদেশ

১৭ ডিসেম্বর ২০১০

কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের বাংলাদেশ উৎসব৷ কিন্তু প্রতিবার যেন অতৃপ্তি নিয়েই শেষ হয় এই আনন্দ মেলা৷

https://p.dw.com/p/QeAb
কলকাতার মানুষদের কাছে এক টুকরো বাংলাদেশকে তুলে ধরাই মূল লক্ষ্যছবি: AP

প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়দিবসে শুরু হয় এই উৎসব৷ এবারও তার কোনও ব্যাতিক্রম হল না৷ শহরের অধিকাংশ মেলাই যেখানে চালু হয়ে যাওয়ার পরেও অপ্রস্তুত, অসমাপ্ত অবস্থায় দেখতে লোকে অভ্যস্ত, সেখানে প্রশংসা করতেই হয় এই বাংলাদেশ উৎসবের উদ্যোক্তাদের, যে উদ্বোধনের আগেই কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন ভবনের প্রাঙ্গনে অস্থায়ী স্টলগুলো তাদের পসরা নিয়ে সেজেগুজে তৈরি৷

এবারের উৎসবেও যথারীতি জোর দেওয়া হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ওপর৷ রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি তো আছেই, তার সঙ্গে থাকছে বাউল গান, লালন গীতি এবং নানা ধরণের লোকসংগীত৷ থাকছে নৃত্যনাট্য, বিভিন্ন লোকায়ত নাচ, অভিনয়৷ দুই বাংলারই বিখ্যাত শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন যে পরিবেশনায়৷ এ ব্যাপারে ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট প্রেস অফিসার কাজি মুস্তাক জাহির বললেন, আসলে কলকাতার মানুষদের কাছে এক টুকরো বাংলাদেশকে তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য৷ দুই দেশের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, সেই অভিন্নতাকেও তুলে ধরবে এই উৎসব৷ তবে বাংলাদেশ উৎসব আর খাদ্যরসিক বাঙালিদের রসনাতৃপ্তির কোনও আয়োজন থাকবে না, তাই কখনও হয়৷ কাজি মুস্তাক জাহির জানালেন, পদ্মার ইলিশ থাকছে৷ ইলিশের নানা পদ৷ থাকছে বাংলাদেশের প্রথাগত পিঠেপুলি৷

Baul, Traditioneller Tanz und Musik aus Bangladesch
অনুষ্ঠানে থাকছে বাউল গান, লালন গীতি এবং নানা ধরণের লোকসংগীতছবি: Harun Ur Rashid Swapan

এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশে প্রকাশিত বইপত্র, মেলামাইনের বাসন এবং অবশ্যই বাংলাদেশের শাড়ি৷ রাজশাহির সিল্ক, টাঙ্গাইলের তাঁত, ঢাকাই জামদানি, সব ধরণের শাড়ি৷ গত ১৭ বছর ধরে কলকাতার বিভিন্ন মেলায় শাড়ির দোকান দিচ্ছেন নারায়নগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমান৷ তিনিও কিন্তু একই কথা বললেন যে মেলার মেয়াদ আরেকটু বেশি হলে ভালই হত৷

উপস্থিত অতিথিদেরও একই মত৷ ভাল জিনিস নাহয় আরও কিছুদিন বেশি পাওয়া গেল, তাতে ক্ষতি কী৷ ভেবে দেখতেই পারেন উদ্যোক্তারা৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক