কলেজ অ্যাসাইনমেন্টের রঙে বদলে গেছে গ্রাম
রং জীবনকে বদলে দেয়৷ রং বদলে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মালাঙের একটি গ্রামকেও৷ দেশটির পূর্ব জাভার কালী ব্রান্তাস নদী তীরের একটি গ্রাম দেখলে চেনাই দায় হয়ে যাবে৷
নদী তীরের অন্যরকম গ্রাম
মালাঙের জদিপান এলাকায় এই গ্রাম৷ কালী ব্রান্তাস নদী তীরের এই গ্রামটি দেখতে বস্তির মতো ছিল৷ তবে সেটি এখন ইতিহাস৷ দেখলে আর সেটা বোঝাই যাবে না৷ পুরো এলাকাটিকে সাজিয়ে গুছিয়ে একেবারে ফকফকা করে ফেলা হয়েছে৷ দেয়া হয়েছে নানা ধরনের রং৷ মালাঙের একজন শিক্ষার্থী এই কাজের শুরুটা করেন৷
যে যজ্ঞের শুরু কলেজ অ্যাসাইনমেন্টে
যে কাজ একটা গ্রামকে খোলনলচে বদলে দিয়েছে, তার শুরু কিন্তু কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট থেকে৷ এক শিক্ষার্থী জনসংযোগ-২ কোর্সের অংশ হিসাবে সামাজিক কাজ করতে গিয়ে এর সূচনা করেন৷ মালাং ভয়েসের মতে, ওই প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী নাবিলা ফিশডোশিয়াহ বলেন, ওই শিক্ষার্থী গ্রামের পরিবেশ বদলে দেয়ার আইডিয়া নিয়ে আসে৷ এরপরই শুরু হয় এই মহাযজ্ঞ৷
এগিয়ে আসে রং কোম্পানি
এই কাজে এগিয়ে আসে ইন্ডানা পেইন্ট নামে একটা রং কোম্পানি৷ কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় তারা ২ টন রং প্রদান করে৷
গ্রাম জুড়ে চমক
অনেক রং মিস্ত্রী দুই মাস ধরে এই কাজ করে৷ মালাং ভয়েস জানিয়েছে, এমনকি এই কাজে বিমান বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও অংশ নিয়েছেন৷ তারা উঁচু জায়গা রং করতে সাহায্য করেছেন৷
কত্ত রং
গোলাপী, লাল, সবুজ, নীল হলুদ.... কত কত রং যেন গ্রামটির বাড়িগুলোতে দিয়ে গেছে শিল্পীর ছোঁয়া৷ এরপর গ্রামের নাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে৷ হরেক রং গ্রামের ঘরের চালাগুলোকে দিয়েছে অন্য রকম সৌন্দর্য্য৷
জানালা খুললেই ভিন্ন দৃশ্য
মুরাল কমিউনিটি এবং শিল্পীরা এই গ্রামের জনপরিসর এবং বাড়িগুলো রং করার কাজে যুক্ত হয়েছেন৷ ওই গ্রামে এখন ১০০’র বেশি রঙিন বাড়ি রয়েছে৷
পর্যটন গন্তব্য
অভিনব এই কাণ্ডের পর গ্রামটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নানা মানুষের৷ এমনকি এটি এখন মালাং শহরের পর্যটন গন্তব্যও হয়ে উঠেছে৷
রঙেই শেষ নয়, কাজও চলছে
কেবল একটি গ্রাম দৃষ্টিগ্রাহ্য করতেই শিক্ষার্থীরা কাজ করেননি৷ বরং তারা পরে নানা ধরণের কাজে জমিয়ে রাখছেন গ্রামটি৷
পয়নিষ্কাশন ও আবর্জনা সমস্যা
যদিও গ্রামটি দেখতে এখন বেশ লাগে৷ তবে পয়নিষ্কাশন ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সমস্যা এখনো রয়েই গেছে৷ নির্ধারিত সময়ে আবর্জনা ফেলা একটি অভ্যাসের ব্যাপারও৷ অধিবাসীরা এখন তাতে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন৷
থ্রি ডাইমেনশন
জদিপানের প্রতিবেশী গ্রাম কামপাং কেসাট্রিয়ানও তাদের ভাবমূর্তিকে নতুন করে গড়েত চাইছে৷ থ্রি ডাইমেনশনাল ইমেজ ব্যবহার করে এই গ্রামে ‘কামপাংট্রিডি’ একটি অনুষ্ঠান ডাবিং করা হয়েছে৷