1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কসোভোর দ্বিতীয় স্বাধীনতা বার্ষিকী

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০

বুধবার সার্বিয়ার কাছ থেকে কসোভোর স্বাধীনতা অর্জনের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে কসোভো সরকার দেশের বিভিন্ন শহরে নানা অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেছে৷ তবে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে অনেক নাগরিক এই সব অনুষ্ঠান পালন করতে পারছে না৷

https://p.dw.com/p/M483
দু’বছর আগে স্বাধীনতা পায় কোসোভোছবি: AP

দুই বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করলেও কসোভোকে এখনও বিশ্বের অনেক দেশ স্বীকৃতি দেয় নি৷ তাই সরকার যত বেশি সম্ভব দেশের স্বীকৃতি লাভের চেষ্টা করছে৷ সার্বিয়ার সাথে কসোভো এর সম্পর্ক ভাল নয়৷ দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খুব খারাপ৷ জনসাধারণের অসন্তুষ্টি বেড়েই চলেছে৷

তবে সরকারের প্রতিনিধিরা জোর দিয়ে বলছেন, দেশে বিরাট মাপের সাফল্য অর্জিত হয়েছে৷ পুনর্গঠনের অনেক কাজ হয়েছে৷ কসোভোর রয়েছে একটি নিজস্ব সংবিধান, সাংবিধানিক আদালত, নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, গুপ্তচর সংস্থা এবং বিশ্বের একুশটি দেশের সাথে রয়েছে কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব৷ মোট ৬৫টি দেশ কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ তবে ইইউ এর পাঁচটি দেশ, রাশিয়া, চীন ও সার্বিয়া দেশটিকে স্বীকৃতি দেয় নি৷ অবশ্য কসোভো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাংক এর সদস্য৷ তাই প্রসিডেন্ট ফাতমির সেইদিয়ু অত্যন্ত সন্তুষ্ট৷ তিনি বলেন, কসোভো তার রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও জাতীয় পরিচিতির প্রমাণ দিয়েছে৷ সার্বরা ব্যাপক সংখ্যায় কসোভো ছেড়ে চলে যাবে, দেশটিতে সার্বদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া হবে অর্থাৎ দেশটিতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা হবে বলে যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল তা সত্য প্রমাণিত হয় নি৷ ঠিক এর বিপরীতটাই হয়েছে৷ সব সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গে কসোভো এর রয়েছে সুসম্পর্ক৷ ব্যতিক্রম শুধু সার্বিয়ার একটা ক্ষুদ্র অংশ ৷

শুধু সার্বরা নয়, অসন্তুষ্ট অনেক কসোভো-আলবেনীয়রাও৷ তবে তারা অসন্তুষ্ট রাজনৈতিক কারণে নয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণে৷ দেশটিতে রয়েছে ব্যাপক বেকারত্ব৷ প্রায় অর্ধেকের মত মানুষ বেকার৷ ৪৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ দরিদ্র, এদের মধ্যে পনেরে শতাংশই বাস করে চরম দারিদ্র্যে৷ দেশটিতে মানুষের গড় মাসিক আয় মাত্র ২৩০ ইউরো৷ প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে৷ অংশ নিচ্ছে অসন্তুষ্ট বহু মানুষ৷

প্রতিবেদক : আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক