1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাঁদিয়ে গেল পবন্তরা

২৭ জুলাই ২০১০

টানা তিন দিন শোক পালন করে আবার আগের অবস্থায় ফিরলো ঢাকা চিড়িয়াখানা৷ এই শোক চিড়িয়াখানার সবচেয়ে পুরনো বাসিন্দা পবন্তরার জন্য৷ এই হাতিটি গত বৃহস্পতিবার মারা যায়৷

https://p.dw.com/p/OVef
জীবনাবসানের সময় পবন্তরা’র বয়স হয়েছিলো ১০০ বছর (ফাইল ফটো)ছবি: AP

১৯৫৭ সালে অনেক প্রাণীর সঙ্গে পবন্তরা নামের এই হস্তিনীটিকে নিয়েই যাত্রা শুরু হয় ঢাকা চিড়িয়াখানার৷ শুরুর দিকের অন্য প্রাণীগুলো মারা গেলেও হাতিটি থেকে যায়৷ জীবনাবসানের সময় এর বয়স ১০০ বছর হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক এ এইচ এম শহীদুল্লাহ৷ পবন্তরার মৃত্যুতে শোকে মোহ্যমান হয়ে পড়েন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা৷ শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পবন্তরার মৃত্যুতে মাহুতরা শিশুর মতো কেঁদেছে৷ যে সব মাহুত অবসরে চলে গিয়েছিলো, মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে এসেছিলো তারাও৷''

এশীয় হাতি সাধারণত বাঁচে ৬০ থেকে ৯০ বছর৷ তবে ক্ষেত্র বিশেষে ১০০ বছরও বাঁচতে দেখা যায়৷ এই তথ্য জানালেন হাতি বিশেষজ্ঞ মহসিনুজ্জামান চৌধুরী৷ আর পবন্তরার ক্ষেত্রে তাই হয়েছিলো৷ শতবর্ষী পবন্তরা চিড়িয়াখানাকে দিয়েছে অনেক৷ অনেক বাচ্চা-কাচ্চায় ভরিয়ে দিয়েছিলো এটি৷ আর স্বভাবেও ছিলো শান্ত৷ যেকথাটি বলছিলেন শহীদুল্লাহ, ‘‘পবন্তরা শুধু ঢাকা চিড়িয়াখানারই নয়, সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বয়সি হাতি ছিলো৷ এটি ছিলো চিড়িয়াখানার সবচেয়ে সুবোধ প্রাণী৷ সবাই এটিকে খুব পছন্দ করতো৷''

পবন্তরার মৃত্যুতে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত শোক পালিত হয় চিড়িয়াখানায়৷ এই সময়টাতে চিড়িয়াখানায় হাতিতে চড়া বন্ধ ছিলো৷ মসজিদে হয় বিশেষ প্রার্থনা৷ ‘‘এই শ্রদ্ধাটুকু পবন্তরার প্রাপ্য ছিলো,'' বলেন তত্ত্বাবধায়ক৷ পবন্তরা জীবদ্দশায় যেমন ছিলো, মৃত্যুর পরও থাকছে চিড়িয়াখানায়৷ সেখানেই তাকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে৷

ঢাকা উত্তর পশ্চিম অংশে ১৮৬ একর এলাকাজুড়ে রয়েছে ঢাকা চিড়িয়াখানা৷ প্রায় ২ হাজার প্রাণী রয়েছে সেখানে৷ শুধু প্রাণী দেখাই নয়, জনবহুল ঢাকায় প্রকৃতির সংস্পর্শ নিতে অনেকেই একটু ঘুরতে যান চিড়িয়াখানায়৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন