1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতার থেকে আমদানি করা হচ্ছে তরল গ্যাস

৩১ জানুয়ারি ২০১১

চলতি বছরের মধ্যেই গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করে উদ্বৃত্ত উৎপাদনে যাবে বাংলাদেশ৷ বাপেক্সের মাধ্যমে খনন করা হচ্ছে ১১টি নতুন কূপ৷ শিগগিরই বঙ্গোপসাগরেও শুরু হবে নতুন অনুসন্ধান৷ কাতার থেকে আমদানি করা হবে তরল গ্যাস৷

https://p.dw.com/p/107ZO
ঢাকায় পেট্রোবাংলা কার্যালয়ছবি: DW

বাংলাদেশে প্রতিদিন মোট গ্যাসের চাহিদা এখন ২ হাজার ৩শ' মিলিয়ন ঘনফুট৷ আর সরবরাহ করা যায় ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ৷ দেশের শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গাড়ি এবং শহরে রান্নাবান্না অনেকাংশে এই প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল৷ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এই গ্যাসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে৷ তবে বাংলাদেশে গ্যাসের ভাল মজুদ আছে বলে জানান তিনি৷ আর তা নিজস্ব প্রযুক্তিতে বাপেক্সের মাধ্যমে উত্তোলনের পরিকল্পনা কার্যকর হচ্ছে৷ তিনি জানান, চলতি বছরের মধ্যেই গ্যাসের আর ঘাটতি থাকবেনা৷ এরপর গ্যাস উদ্বৃত্ত হবে৷ ২০১৩ সাল নাগাদ কমপক্ষে ১১টি নতুন গ্যাসকূপ খনন করা হবে, করা হবে পুরনো কূপের উন্নয়ন৷

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জানান, বিদেশী কোম্পানি কনোকো ফিলিপসও অনুসন্ধানের কাজ শুরু করবে৷ তাদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে৷ বঙ্গোপসাগরে বিরোধপূর্ণ এলাকা বাদ দিয়ে অনুসন্ধান চালান হবে৷ শুধু তাই নয়, কাতার থেকে তরল গ্যাস বা এলএনজি আমদানিরও চুক্তি হয়েছে৷ কাতারের গ্যাস পাওয়া যাবে ২০১৩ সাল নাগাদ৷

অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস একসময় শেষ হয়ে যাবে ঠিকই৷ তবে গ্যাস শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছিল, তা বাস্তব ভিত্তিক নয়৷ যদি তাই হত, তাহলে বিগত জোট সরকার পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস রফতানির উদ্যোগ নিত না বলে তিনি যুক্তি দেখান৷ তবে বর্তমান সরকারের গ্যাস রফতানির কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন