1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাবুলে মেইজিয়ার, কথা হচ্ছে আফগান পুলিশ প্রশিক্ষণ নিয়ে

২৮ মার্চ ২০১০

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডে মেইজিয়ার রবিবার আফগানিস্তান সফরে গেছেন৷ এই সফরের মূল লক্ষ্য জার্মান প্রশিক্ষকের মাধ্যমে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের প্রশিক্ষণের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলা৷

https://p.dw.com/p/MgGP
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডে মেইজিয়ারছবি: picture alliance/dpa

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সময় সকালে কাবুলে পৌঁছান৷ ব্যস্ত সময় তাঁর৷ প্রথমেই তিনি বৈঠক করেন আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হামিদ আতমারের সঙ্গে৷ এর পরেই তিনি আফগানিস্তানে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ তাঁর কথা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ মিশনের কর্তাদের সঙ্গেও৷ জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র ডে মেইজিয়ারের সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছেন, মন্ত্রী আফগানিস্তানে পুলিশের প্রশিক্ষণ নিয়েই জানতে চান৷ বিশেষ করে কতটুকু অগ্রগতি হচ্ছে এই কার্যক্রমের, সেই বিষয়টি৷

তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আফগান সরকার নিজেদের বাহিনীর শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করতে চাইছে৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে এই কাজে সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে৷ পরিকল্পনা রয়েছে ১ লাখ সদস্যের পুলিশ বাহিনীতে আরও ৬০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া, তাদেরকে যথাযথ ভাবে প্রশিক্ষিত করা৷

আফগান সরকারের বিশেষ অনুরোধে জার্মান প্রশিক্ষকরা ২০০২ সাল থেকে সেখানকার পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের কাজ করছে৷ সেখানে এখন রয়েছে ১৬০ জন পুলিশ প্রশিক্ষক৷ এই তো কিছু দিন আগে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ঘোষণা করেছেন আগামীতে এই সংখ্যা আরও ১০০ জনে বাড়িয়ে- পুলিশ প্রশিক্ষকদের সংখ্যা করা হবে ২৬০ জন৷ আফগানিস্তানে বর্তমানে জার্মান সেনা রয়েছে ৪ হাজার ৫৭০ জন৷

পুলিশ সদস্য নিয়োগে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার অভাব৷ পুলিশে ভর্তি হতে আসা অধিকাংশ আগ্রহী নিরক্ষর৷ তাছাড়া অনেককেই পাওযা যাচ্ছে যারা মাদকাসক্ত৷ একই সঙ্গে বর্তমানে সেখানকার পুলিশের মধ্যে বাসা বাধা দুর্নীতিও একটি বড় অন্তরায়৷

এদিকে, প্রাপ্ত এক খবরে জানা গেছে, আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের পুলিশ গত শুক্রবার অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারীদের গুলিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর দুই কর্মী নিহত এবং ১০ জন আহতের ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়