1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাবুলের নতুন বিপদ আইএস

মাসুদ সাইফুল্লা/এসি৩ জানুয়ারি ২০১৬

ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর প্রতি বিশ্বস্ত বিদ্রোহীরা পূর্ব আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছে৷ ওদিকে তালেবানের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বেড়েই চলেছে৷ নতুন হলো, প্রচারণার জন্য এবার একটি বেতারকেন্দ্র শুরু করেছে আইএস৷

https://p.dw.com/p/1HWHl
ISIS Kämpfer Militärparade in Syrien 30.06.2014
ছবি: Reuters

নাঙ্গারহার প্রদেশের আচিন জেলা, পাকিস্তানের উপজাতিক এলাকাগুলির লাগোয়া৷ আচিন জেলার অবস্থা এখন সিরিয়া ও ইরাকের আইএস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলির মতো৷ এখানে শুনতে পাওয়া যাবে বিদ্রোহীদের ‘খেলাফত রেডিও'৷

‘‘আমি সব মুসলমানদের প্রতি আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি বিশ্বস্ততার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি'', বেতারে ডাক দিচ্ছেন এক বক্তা৷ অন্যদিকে আচিন-এর বাসিন্দারা ভীত-সন্ত্রস্ত, কেননা আইএস এখন খোলাখুলি ভয় দেখাতে পারছে৷ এমনকি সরকারও এই খেলাফত রেডিও-র এফএম ফ্রিকোয়েন্সি বন্ধ করতে পারেননি৷

স্থানীয় প্রতিরোধ

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস যোদ্ধারা তাদের মতাদর্শের বিরোধী সকলকে হত্যা করছে, বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁদের মতে, আইসিস সদস্যরা তালেবান বা অন্য যে কোনো গোষ্ঠীর চেয়ে বেশি নির্মম৷ আইএস যোদ্ধারা একটি গ্রামের দখল নেবার পরে সরকার সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করে, কিছু তালেবানও বাদ যায়নি, বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা৷ ফলে তালেবান জঙ্গিরা পালাতে বাধ্য হয়৷

আফগান সংসদের প্রথম সহকারী অধ্যক্ষ জাহির কাদির গত সেপ্টেম্বর মাসেই সাবধান করে দেন যে, নাঙ্গারহার একটি আইএস বা আইসিস ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে৷ এমনকি তিনি হুমকি দেন যে, সরকার এ বিষয়ে কিছু না করলে, ‘‘আমরা নিজেরাই জনতার সাহায্য নিয়ে ওদের (আইসিস-এর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করব''৷

নাঙ্গাহার এলাকায় একটি সরকারি সামরিক অভিযান ব্যর্থ হবার পর জাহির কাদির-এর প্রতি বিশ্বস্ত সশস্ত্র যোদ্ধারা আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে ও গত সপ্তাহে চারজন আইসিস সদস্যের শিরশ্ছেদ করে৷ এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘ওরা আমাদের মুণ্ডু কাটলে, আমরাই বা ওদের মুণ্ডু কাটব না কেন?''

Symbolbild Taliban
আইসিস সদস্যরা তালেবানের থেকেও নির্মম?ছবি: Getty Images/AFP/A. Karimi

‘আইসিস গোটা এলাকার পক্ষে বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে'

আফগানিস্তানে আইসিস-এর উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পাওয়া যাচ্ছে ২০১৫ সালের সূচনা থেকেই৷ দৃশ্যত সরকার এই বিপদকে সঠিক গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ অপরদিকে গত জুলাই মাসে মোল্লা ওমর-এর মৃত্যু ঘোষিত হবার পর থেকে তালেবান গোষ্ঠী শতধাবিভক্ত৷ এই পরিস্থিতিতে আইএস কাবুল সরকারের পক্ষে একটি আন্তরিক বিপদ হয়ে উঠতে পারে, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷

বন্ধুরা, আপনার কী মনে হয়? তালেবান আর আইএস কি শত্রুতে পরিণত হচ্ছে? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান