1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারি উৎসবের সুঘ্রাণ কলকাতায়

২০ এপ্রিল ২০১০

কলকাতার এক পাঁচ তারা হোটেলে চলছে কারি ফেস্টিভাল৷ ভারতীয় মসলিন এবং মশলার পর রন্ধনকলাও ব্রিটিশদের মন জয় করেছে৷

https://p.dw.com/p/N1IY
ছবি: picture-alliance / dpa / Stockfood

খবর পেয়ে, নাকি বলা উচিত সুঘ্রাণ পেয়ে, সোমবারের মধ্যাহ্নভোজ ইন্ডিয়ান কারি দিয়েই সারলেন কলকাতায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার৷ আগে জানা থাকলে আপনিও আমাদের সঙ্গে খেতে পারতেন, আফশোস করলেন সৈয়দ বেলাল আহমেদ৷ ইংল্যান্ডে কারি লাইফ নামে ভারতীয় সুখাদ্য ও রন্ধনশিল্প বিষয়ক একটি পত্রিকা চালান বেলাল আহমেদ৷ যুক্ত রয়েছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়৷ এই কারি উৎসব তাঁরই ভাবনা৷ ঢাকা শহরে প্রতি বছরই করেন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কলকাতায়৷

বেলাল আহমেদ বললেন, ‘‘কারি যে বিষয়টা, এবং কারি যে খাবার, সেটা বাঙালিরাই সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করেছে৷ ব্রিটেন এর একটা অনন্য উদাহরণ৷ আমরা মনে করি যে এই জনপ্রিয়তাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত এবং শেয়ার করা উচিত৷ বাঙালিদের এই যে সাফল্য, এটা সারা বিশ্বের জানা উচিত৷ ব্রিটিশদের ফুড হ্যাবিট ওরা চেঞ্জ করে দিয়েছে৷ এটা একটা বিরাট ব্যাপার৷ এই সেলিব্রেশনের জন্যেই আমরা এই ফেস্টিভালটা করি৷''

বেলাল আহমেদ মনে করালেন, ভারতীয় রান্নার ব্রিটেন জয়ের শুরু কলকাতা থেকেই৷ কাজেই কলকাতায় কারি উৎসব আসলে ভারতীয় রন্ধন সফলতার মাতৃভূমিতে ফিরে আসা বৈ আর কিছু নয়৷

কিন্তু কারিতেই কি থেমে থাকবে বাঙালির জয়যাত্রা৷ বেলাল আহমেদের উদ্যোগ-সঙ্গী, লন্ডনের মাস্টার শেফ পার্থ মিত্র জানালেন, ‘‘কারি দিয়েই আমরা কুলিয়ে উঠতে পারছি না৷ অন্য কিছুর জন্য যে সময়টা দেওয়া দরকার, সেটাই করে উঠতে পারছি না৷ নিশ্চই আরও অন্য কিছু করা যেতে পারে৷ আমরা চিন্তা ভাবনা করছি৷''

আর লন্ডন থেকে কলকাতায় আসা ১২ জনের শেফ দলের সঙ্গে যিনি যোগ্য সঙ্গত করে যাচ্ছেন, সেই এক্সিকিউটিভ শেফ উৎপল মন্ডল-কে প্রশ্ন করলাম, কেমন লাগে যখন বিদেশি অতিথিরা এসে এদেশের খাবার খেতে চান৷ তিনি বললেন,

‘‘ওরা তো এদেশের খাবার খেতেই এদেশে আসে৷ সত্যি কথা বলতে কি, সারা পৃথিবীতে যত কুইজিন আছে, (তার মধ্যে) ইন্ডিয়ান কুইজিনের এত বৈচিত্র্য, এটা তো অন্য কোনও দেশে নেই৷ যার ফলে ওরা এখানে এসে যখন প্রায় আঙুল চাটার শব্দ হয়, মন ভরে যায়৷''

কারি উৎসবে এসে কিছু না খেয়ে চলে যাবেন, তাই কখনো হয়৷ তাও আবার এক ডজন ওস্তাদ রাঁধুনের সামনে দিয়ে৷ তাই চাখতেই হল বালটি ল্যাম্ব৷ এক কথায় অনবদ্য৷ হাজার তারিফেও সেই সুস্বাদ বোঝানো যায় না৷

প্রতিবেদক: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক