1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্টুন বিতর্কে মাক্রোঁর পাশে ভারত

২৯ অক্টোবর ২০২০

কার্টুন বিতর্কে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর পাশে দাঁড়ালো ভারত। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, মাক্রোঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠিক নয়।

https://p.dw.com/p/3ka1Q
ছবি: Suvra Kanti Das/Zumapress/picture alliance

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মাক্রোঁর বিরুদ্ধে যে ভাবে ও যে ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণকরা হয়েছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ভাবেই মাক্রোঁকে সমর্থনের পাশাপাশি নাম না করে তুরস্ক ও পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছে ভারত। কারণ, মাক্রোঁর প্রবল সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই দুই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো নয়।

বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''যে ভাবে ও যে ভাষায় প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো হচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক আলোচনার সব নিয়ম লঙ্ঘন করছে।'' শুধু মাক্রোঁর সমর্থনই নয়, ফরাসি শিক্ষকের হত্যারও নিন্দা করেছে ভারত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''আমরা ফরাসি শিক্ষকের নৃশংস হত্যার নিন্দা করছি। এই হত্যা পুরো আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে ধাক্কা দিয়েছে। তাঁর পরিবার ও ফ্রান্সের জনগণকে আমরা শোক জানাচ্ছি। কোনো পরিস্থিতিতেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা যায় না।''

এরপরই ভারতে  নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত টুইট করে বলেছেন, ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ। ফ্রান্স ও ভারত সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে আছে।

ফরাসি শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি মহানবী হযরত মোহাম্মদ(সাঃ)-র কার্টুন দেখিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাখ্যা করেছিলেন। তারপর তাঁকে হত্যা করে এক চেচেন যুবক। এরপর মাক্রোঁ বলেছিলেন, তিনি মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে। তাই পিছিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এরপরই এর্দোয়ান ও ইমরান খান ফরাসি প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ মাক্রোঁ ইসলামোফোবিয়া তৈরি করছেন। আরব দেশে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাকও দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাক্রোঁর পাশে দাঁড়ালো ভারত।

জিএইচ/এসজি (বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি, টুইটার)