1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাল ভোরে গুজরাটে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় বায়ু

১২ জুন ২০১৯

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু‘ ধেয়ে আসছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গুজরাটের উপকূলে৷ আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছে, বৃহস্পতিবার ভোরে, স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ৷ উপকূলের তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3KEDM
Mosambik Beira Zyklon Sturm  Idai
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Estey

দেশটির আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বায়ু যে গতিতে এগিয়ে আসছে তাতে, বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে৷ গুজরাটের জ্যেষ্ঠ রাজ্য কর্মকর্তা জেএন সিং জানিয়েছেন, ‘উপকূলবর্তী দশটি জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে৷ তাদের বুধবার বিকেলের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে৷ এজন্য সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে৷‘ ইতোমধ্যে, ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

উপকূলীয় জেলা সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের সব স্কুল কলেজ বৃহস্পিতবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান জেএন সিং৷

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাব্যতা বিবেচনা করে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ নিশ্চিত করতে,  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, দেশটির সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বার্তায়, বুধবারের মধ্যে পর্যটকদের উপকূল ছেড়ে নিরাপদ স্থানে ফিরে আসারও অনুরোধ জানিয়েছেন রুপানি৷

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যবস্থা সচল করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছন কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷

আবহাওয়ার খবর অনুযায়ী, আরব সাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু‘  ক্রমে আরো শক্তিশালী হয়ে গুজরাটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷ এর কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১০৬ মাইল৷ ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ প্রায় সাতফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তৈরি আশঙ্কাও রয়েছে৷ ফলে প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল৷

ঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানলে, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগ ব্যহত হবার আশঙ্কা করছে, আবহাওয়া বিভাগ৷ এছাড়াও উপকূলীয় খড়ের ঘর, ছাউনি উড়িয়ে লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা আছে৷ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা৷

কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ফণি আঘাত হেনেছিল ভারতের ওড়িশা ও বাংলাদেশের উপকূলে৷ এর প্রভাবে ভারতে ৩৪ ও বাংলাদেশে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়৷

সাগর কিংবা মহসাগরে একইসঙ্গে দু-তিনটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করতে পারে৷ তাই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের সুবিধায়, আলাদা নাম দেয়া হয়৷ মুম্বাই আবহাওয়া বিভাগের উপ মহাপরিচালক  কেএস হোসিলকার জানান, পৃথিবীর দক্ষিণাঞ্চলে ৮টি দেশের অবস্থান৷ এগুলোর মধ্য আছে, বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড৷ এই আটটি দেশ ধারাবাহিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম নাম ঠিক রাখে৷ তারপর সব দেশ মিলে নামটি চূড়ান্ত করে৷ সাগরে কোনো  ঘূর্ণিঝড় দেখা দিলে, তখন ঠিক করা নামটি ব্যবহার করা হয়৷ এরপর নাম করণের দায়িত্ব মালদ্বীপের বলেও জানান তিনি৷ এর মধ্যে দেশটি ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী নাম হিসেবে ‘হাইকা‘ চূড়ান্ত করেছে৷

চলতি গ্রীষ্ম থেকেই ভারতের আবহাওয়া বৈরি আচরণ করছে৷  আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে ভারতের প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে খরার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ বৃষ্টির আশায় দিন গুণছে এসব এলাকার প্রায় ৫০ কোটি মানুষ৷ প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তাদের৷ রাজস্থানে তাপমাত্রা  ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে গেছে৷ দেরিতে হলেও, গেল সপ্তাহে দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় বৃষ্টি হয়েছে৷

টিএম/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য