1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে সৈন্য সংখ্যা হ্রাস করবে ভারত

১৪ জানুয়ারি ২০১১

জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী আন্দোলন প্রশমিত করার লক্ষ্যে কাশ্মীর থেকে আংশিক সেনা অপসারণ, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরীদের এপারে আসার পারমিট উদার করা, কাশ্মীরী যুবকদের কর্মসংস্থান ইত্যাদির মত পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত৷

https://p.dw.com/p/zxaq
কাশ্মীরে সৈন্য সংখ্যা হ্রাস করবে ভারতছবি: AP

জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে সরকার কী কী আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সেসম্পর্কে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জি.কে পিল্লাই বলেন, রাজ্যের জনবহুল এলাকা থেকে ২৫ শতাংশ সেনা হ্রাস করা হবে যাতে স্থানীয় লোকজনদের সেনাবাহিনীর হাতে হয়রানি হতে না হয়৷ ১৬টি বাঙ্কার সরানো হয়েছে৷ এইভাবে চলতে থাকবে৷ পরিস্থিতি স্থানীয় পুলিশ সামাল দিতে পারলে, সেটা হবে আদর্শ৷ আজ নতুনদিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত কাশ্মীরে শান্তির যাত্রাপথ শীর্ষক এক সেমিনারে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, সেনাবাহিনীর বিশেষ অধিকার আইন ‘আফস্পা' পর্যালোচনা করে দেখছে সরকার৷ তারপর শহরাঞ্চল থেকে তা তুলে নেয়া হবে৷ পিল্লাই বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাশ্মীর সমস্যার মধ্যস্থতাকারী কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে৷ তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী কমিটিকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে এপ্রিলের মধ্যে৷

গত বছর প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাশ্মীর উপত্যকা৷ সড়ক অবরোধ, পাথর বৃষ্টি, সহিংস বিক্ষোভ চলে লাগাতার৷ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায় প্রায় একশো জন৷ উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতাকারী কমিটি রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনে এক অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দেন সরকারকে৷ রিপোর্টে অন্যান্য যেসব আস্থাবর্ধক পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়, তার মধ্যে আছে, বিচারাধীনদের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, যেসব সহিংস বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই তাদের মুক্তি, নিহতদের পরিবারকে বর্ধিত ক্ষতিপূরণ, কাশ্মীরী ছাত্রদের স্কলারশিপ, যুবকদের কর্মসংস্থান, কাশ্মীরী পন্ডিতদের বর্ধিত পেনশন ইত্যাদি৷ সর্বোপরি, পাকিস্তানি কাশ্মীরীরা যাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে তাঁদের আত্মীয়পরিজনদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে আসতে পারে তার জন্য মাল্টিপল-এন্ট্রি পারমিট দেবে ভারত, বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব পিল্লাই৷

উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সরকারের শান্তি প্যাকেজে খুশি নয়৷ তাঁদের মতে দিল্লি বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে চাইছে৷ তাঁদের দাবি, সেনা প্রত্যাহার করতে হবে সম্পূর্ণভাবে৷ দ্বিতীয়ত, কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানে যুক্ত করতে হবে পাকিস্তানকে৷ নাহলে সমাধান স্থায়ী হবেনা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন