1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীর জ্বলছে, এর মধ্যেই আসছে লামহা

১ জুলাই ২০১০

ভারত শাসিত কাশ্মীরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের চিত্র নতুন নয়, তবে এবার এর মাত্রাটা যেন একটু বেশি৷ এর মধ্যেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘লামহা’৷

https://p.dw.com/p/O7eK
সঞ্জয় দত্ত অভিনয় করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্রেছবি: UNI

কাশ্মীরের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্র সহিংসতায় নতুন মাত্রা জোগায় কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত অনেকে৷

লামহা মুক্তি পাচ্ছে ১৬ জুলাই৷ বিভিন্ন সিনেমা হলে ট্রেলার ইতোমধ্যেই দেখানো শুরু হয়ে গেছে৷ তাতে বলা হচ্ছে, ‘কাশ্মীরের শ্বাসরুদ্ধকর একটি গল্প, রুপালি পর্দায় যা আগে দেখা যায়নি কখনো'৷ মুক্তির আগেই আলোচনার ঝড় তুলেছে রাহুল ঢোলাকিয়ার এই ছবি৷ শুটিং করতে গিয়ে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে তাকে যেমন পড়তে হয়েছে, তেমনি কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ডও৷

ভারতীয়রা বলে, পৃথিবীর মধ্যে স্বর্গ যদি থেকে থাকে, তবে তা হলো কাশ্মীর৷ কিন্তু রাহুলের চলচ্চিত্রে সেই কাশ্মীর হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান৷ যাতে বাধ সাধে কাশ্মীরিরা৷ তাদের আপত্তিতে একটি দৃশ্যের শুটিং পুনরায় করতে হয়৷ কাশ্মীরের পরিস্থিতির বর্ণনায়ও কাঁচি চলে সেন্সর বোর্ডের৷ রাহুল অবশ্য খোলাসা করে কিছু বলেননি৷ শুধু বলেছেন, সরকারি কিছু সংস্থার নাম ব্যবহার নিয়ে আপত্তি করেছিলো সেন্সর বোর্ড৷ পরে সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে৷

লামহা চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত৷ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা তিনি, ছবিতে নাম বিক্রম৷ কাশ্মীরকে অস্থির করার একটি ষড়যন্ত্র চলছে - এমন আভাস পেয়ে সঞ্জয়কে পাঠানো হয় তা ঠেকাতে৷ সঞ্জয় যেদিন কাশ্মীরে পা রাখেন, সেদিনই হত্যার চেষ্টা করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হাজিকে, যাঁর ভূমিকায় আছেন অনুপম খের৷ তাঁরই শিষ্যা আজিজা মানে বিপাশা বসুকে নিয়ে অভিযান শুরু হয় সঞ্জয়ের৷ যার মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয় কাশ্মীরের রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির চিত্র৷

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হওয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের এক নাম কাশ্মীর৷ এর প্রকাশ ঘটেছে যুদ্ধের মধ্য দিয়েও৷ কাশ্মীরকে নিয়ে স্মৃতিকাতরতা আছে সঞ্জয়ের৷ সুনীল দত্ত-নার্গিসের একমাত্র ছেলের প্রথম ছবি ‘রকি'র শুটিং হয়েছিলো এই কাশ্মীরেই৷ সঞ্জয় বলেন, ‘‘২৯ বছর আগে শুটিং করতে গিয়েই আমি কাশ্মীরের প্রেমে পড়ে যাই৷'' রাজ্যটির বর্তমান হালে হতাশ এই বলিউড তারকা৷ তিনি বললেন, আমি এই টুকু বুঝি, কাশ্মীরের মানুষ প্রতিদিন আর হানাহানি দেখতে চায় না৷ তারা এ থেকে পরিত্রাণ চায়৷

নির্মাতা রাহুল বলছেন, কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ হিসেবেই দেখতে চান তিনি৷ আর লামহা সে আলোচনার দুয়ার খুলতে পারে৷ তাঁর এই প্রয়াস সফল হয় কি না কিংবা কাশ্মীরিরা ছবিটিকে কীভাবে নেন, তা দেখতে এখন অপেক্ষা করতে হবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক