1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীর সংঘাতে পাক কম্যান্ডো!

১৮ অক্টোবর ২০২১

কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত দুই সাধারণ মানুষ। সীমান্ত সংঘাতে পাক কম্যান্ডোর হাত দেখছে সেনা।

https://p.dw.com/p/41nQY
ভারতীয় সেনা
ছবি: imago images/Hindustan Times

গত সোমবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে তুমুল লড়াই হচ্ছে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের। যে লড়াইয়ে গত ১০ অক্টোবর পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর সেনা জঙ্গলের ভিতর তল্লাশি চালানোর সময় আরো দুই সেনার মৃত্যু হয়। দুইজন সেনা নিখোঁজ হয়ে যায়। দুইদিন পর তাদের দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট নয়জন সেনা পুঞ্চ সংঘাতে নিহত হয়েছেন। সেনা সূত্রের দাবি, এই সংঘাতের পিছনে পাক এলিট ফোর্সের হাত আছে বলে তারা মনে করছে। যদিও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি সেনা এবং পুলিশ।

অন্যদিকে, রোববার শ্রীনগর এবং পুলওয়ামায় আরো দুই সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত দুই ব্যক্তির একজন বিহারের, অন্যজন উত্তরপ্রদেশের। বিহারের বাসিন্দা অরবিন্দ কুমার শাহ শ্রীনগরে ফুচকা বিক্রি করতেন। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সাগির আহমেদ পুলওয়ামায় কাঠের কাজ করতেন। এই নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় গত দুই সপ্তাহে ১১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলো। যার অধিকাংশই কাশ্মীরের বাসিন্দা নন।

পুঞ্চের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় প্রশাসন। আটদিন ধরে একজনও সন্ত্রাসীকে হত্যা করতে পারেনি সেনা। উল্টে একের পর এক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সেনার এক সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা সুবিধাজনক জায়গায় আছে। ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে তারা ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশ করা যাবে না, এই শর্তে তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে, যে কায়দায় তারা লড়ছে, তাতে স্পষ্ট যে তাদের কম্যান্ডো প্রশিক্ষণ আছে। পাক সেনার কাছে তারা কম্যান্ডো প্রশিক্ষণ পেয়েছে বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। শুধু তা-ই নয়, পাক এলিট ফোর্স কম্যান্ডোও ওই দলে থাকতে পারে বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা।

প্রায় আট কিলোমিটার ঘন জঙ্গলের ভিতর গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই চলছে। লাইন অফ কন্ট্রোলের খুব কাছে এই সংঘাত চলছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এতদিন ধরে লড়াই করেও ভারতীয় সেনা একজনও সন্ত্রাসীকে হত্যা করতে পারেনি, এমন ঘটনা বহু দিনের মধ্যে ঘটেনি।

এদিকে শ্রীনগর-সহ কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় একের পর এক হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের কপালে ভাঁজ। মোদী সরকারের আশ্বাসে কাশ্মীরে ফিরতে শুরু করেছিলেন জম্মুতে পালিয়ে যাওয়া পণ্ডিতরাও। নতুন করে হামলার ঘটনা ঘটায় তারাও ফের কাশ্মীর উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছেন। একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে, কাশ্মীরের বাইরের মানুষদের উপরেই আক্রমণ চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। হিন্দু-মুসলিম-শিখ কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)