1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন মিয়ানমারে ফিরছেন রোহিঙ্গারা?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সামরিক অভিযান বন্ধের পর বেশ কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ থেকে সেখানে ফিরে গেছেন৷ অনেকেই বলেছেন, স্ত্রী, সন্তান অথবা বাবা-মায়ের খোঁজে অথবা ফেলে আসা সম্পদ রক্ষা করতেই ফিরেছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/2XvJX
এক রোহিঙ্গা শরণার্থী
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury

কক্সবাজারের কুতুপালাং অরিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘নির্যাতনের মুখে অনেকে তাঁদের বৃদ্ধ বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনকে ফেলে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন৷ এঁদেরই কেউ কেউ এখন আবার বাবা-মা ও স্বজনরা কেমন আছেন – তা দেখতে সময় বুঝে মিয়ানমারে ফিরে যাচ্ছেন৷ সুযোগ পেলেই তাঁরা বাবা-মাকে নিয়ে কক্সবাজারে ফিরে আসবেন৷ দু-একজন ইতিমধ্যে এসেছেন বলেও শুনেছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা গেছেন তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে৷ তাঁরা জানিয়েছেন যে, সেখানকার পরিস্থিতি এখনো ভালো না৷ সামরিক অভিযান বন্ধের কথা বলা হলেও বন্ধ হয়নি৷ এমনকি কয়েকদিন আগেও চারজন নিহত হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি৷''

তিনি আরো জানান, ‘‘আমার জানা মতে যাঁরা মিয়ানমারে গেছেন, তাঁরা সিঙ্গেল৷ কোনো পরিবার ফিরে যায়নি৷ তাছাড়া সংখ্যায় তাঁরা চার/পাঁচশ'র বেশি হবে না৷''

আবু সিদ্দিক

অন্যদিকে লেদা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান দুদু মিয়া একই ধরনের কথা বলেন ডয়চে ভেলেকে৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা এক হাজারের মতো হতে পারে৷''

তিনি বলেন, ‘‘অনেকে ভয়ে পালিয়ে এসেছিলেন৷ তাঁদের ওপর তখনো আক্রমণ হয়নি৷ তাঁদের কেউ কেউ ফিরে গেছেন ফেলে আসা বাবা-মাকে দেখতে, তাঁরা কেমন আছেন তা জানতে৷ আবার অনেকে স্ত্রী-সন্তান ফেলে এসছেন৷ এই মুহূর্তে পরিস্থিতি একটু ভালো থাকায় তাঁরা এই সুযোগ নিচ্ছেন৷ তাঁদের খোঁজ নিতে যাচ্ছেন৷ আবার অনেকে পালানোর সময় মাটির নীচে মূল্যবান ধন-সম্পদ পুঁতে রেখে এসেছেন৷ কেউ কেউ তার খোঁজেও গেছেন৷''

তিনি বলেন, ‘‘তবে কেউই মিয়ানমারে থাকার জন্য গেছেন বলে মনে হয় না৷ তাঁরা পরিস্থিতি দেখে বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে আবারো ফিরে আসতে পারেন৷''

দুদু মিয়া

টেকনাফে বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসার প্রেক্ষাপটে অনেক রোহিঙ্গা ফিরছেন৷ তবে কী পরিমাণ ফেরত যাচ্ছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই৷ ফেরত যাওয়ার প্রবণতার কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন৷  বলেন, ‘‘সপ্তাহখানেক ধরে এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ তবে এই সংখ্যাটা একেবারেই নগণ্য৷''

বাংলাদেশে কক্সবাজারে দু'টি নিবন্ধিত ক্যাম্পে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আাছে৷ এর বাইরে আরো চার লাখ অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী আছেন বাংলাদেশে৷ গত অক্টোবর মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন প্রদেশে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর হামলা শুরু পর থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন, হাজারো রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছেন এবং প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন৷''

বন্ধু, এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান