1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিরগিজস্তানের দাঙ্গায় এ পর্যন্ত নিহত ১৮০ জন

১৬ জুন ২০১০

কিরগিজস্তানের জাতিগত দাঙ্গায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৮০ জন৷ দিন দিন অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে৷ সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাইরে তা৷ প্রতি মূহুর্তে বেড়ে চলছে নিহত মানুষের সংখ্যা৷

https://p.dw.com/p/NrLs
ছবি: AP

উজবেক আর কিরগিজদের মধ্যে দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ সরকারি ভাবে মৃতের যে সংখ্যার কথা বলা হচ্ছে, তার চেয়েও আরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে মনে করছে রেডক্রস৷ অবস্থায় ভয়াবহতায় উদ্বিগ্ন মানুষ ঘর ছাড়ছে৷ কিন্তু অনেকেই রয়েছেন অবরুদ্ধ৷ তাদের কাছে ত্রাণ পাঠানো শুরু করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি৷ গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে আহত শত শত মানুষ৷ দুই শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা৷ অন্তত পৌনে এক লাখ মানুষ প্রতিবেশী রাষ্ট্র উজবেকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ঠাঁই নিয়েছে৷ এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷ উজবেকিস্তান তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেবার ঘোষণা দিয়েছে ইতিমধ্যেই৷

ওশ শহরে উজবেকদের ওপর সশস্ত্র কিরগিজরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে এবং তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওশ শহরের রাস্তায় মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে৷ শহরের বিভিন্ন স্থানে এখনো জ্বলছে আগুন৷

Kirgisistan Kirgisien Khirgistan Kyrgyzstan Flüchtlinge Lager Flash-Galerie
নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষছবি: AP

কিন্তু কিরগিজস্তানের সরকার এই দাঙ্গা দমনে না কোন কার্যকর ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারছে না৷ এর প্রধান কারণ সেনার অপ্রতুলতা৷ তাছাড়া এদের হাতে তেমন আধুনিক অস্ত্রও নেই বলে মনে করা হয়৷ আর তাই দাঙ্গা থামাতে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রোজা ওতুনবায়েভা অবস্থায় ভয়াবহতার কথা বর্ণনা করে গত মঙ্গলবার অনেকটা হতাশ সুরেই বলেছেন, আমরা এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছি না৷ আর তাই রাশিয়াকে বলেছি তাদের সেনা প্রেরণ করার জন্য৷ উল্লেখ্য, এখন থেকে ২০ বছর আগে সেখানে একই ধরণের দাঙ্গা বেঁধেছিল৷ আর তা নিয়ন্ত্রণও করেছিল রুশ সেনারাই৷

দাঙ্গা পীড়িত এই দুই শহরে বিদেশী রয়েছেন অনেক৷ আর তাই স্ব স্ব দেশের সরকার সেখান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছেন৷ জার্মানি মঙ্গলবার উননব্বই জন পশ্চিমা নাগরিককে ওশ শহর থেকে বিশেষ বিমানে করে নিয়ে এসেছে৷ চীন তাদের ২০০ নাগরিককে সরিয়ে এনেছে৷ বাকীদের সরিয়ে আনার কাজ চলছে৷ এদিকে, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওশ'এর ঘটনাবলীতে নিন্দা প্রকাশ করেছে৷ ইউনিসেফ উজবেকিস্তানে শরণার্থিদের সহায়তা দিতে শুরু করেছে৷ তবে সেখানে এ মূহুর্তে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী প্রয়োজন নেই বলেই উল্লেখ করেছে সেখানকার সরকারি কর্মকর্তারা৷

দাঙ্গা ঘটানোর জন্য পরস্পর বিরোধী বক্তব্য আসছে৷ কিরগিজস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ওশের আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে বলে দেশটির কারও কারও অভিযোগ৷ তবে অন্য একটি পক্ষ দক্ষিণাঞ্চলে জাতিগত সহিংসতায় মদৎ দেয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভকে দায়ী করেছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন