1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে চার কিশোরের কারাদণ্ড

৯ অক্টোবর ২০১৮

জার্মানির এক ছোট শহরে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে চার কিশোরকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ কিশোরীকে জোর করে ধরে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের এই ঘটনা প্রমাণে সহায়তা করেছে একটি ভিডিও৷

https://p.dw.com/p/36Dqm
Prozess Missbrauchsfall in Velbert
ছবি: picture-alliance/dpa/B.Thissen

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের এক আঞ্চলিক আদালত ছয় মাস আগে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে ১৪ থেকে সতের বছর বয়সি চার কিশোরকে কারাদণ্ড দিয়েছে৷ কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, গত এপ্রিলে ফেলবেয়ার্ট শহরে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে৷ ভুক্তভোগী কিশোরী একটি সুইমিং পুল থেকে বাড়ি ফেরত যাওয়ার সময় একদল কিশোর তাকে একটি জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায় এবং আরেক পথচারী নারী বাধা দেয়ার আগ পর্যন্ত তাকে গণধর্ষণ করে৷

সেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আট জনের সবাই বুলগেরীয় বংশোদ্ভূত বলে জানিয়েছেন কৌঁসুলিরা৷ তাদের মধ্যে ছয় জন ভুপার্টাল শহরের আদালতে বিচারের সম্মুখীন হয়৷ বাকি দু'জন পরিবারসহ বুলগেরিয়া পালিয়ে গেলেও তাদের সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

মূল অভিযুক্তদের চার বছরের কারাদণ্ড

রুদ্ধদ্বার শুনানি শেষে ধর্ষক দলের হোতা পনের বছর বয়সি কিশোরকে চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ আর তার মুল সহযোগীকে চার বছরের কারাবাসের শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে আদালতের এক মুখপাত্র জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানিয়েছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে কিশোরীকে দু'বার ধর্ষণ এবং তাকে ভয়াবহভাবে নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়৷ তারা অবশ্য শেষ মুহূর্ত অবধি এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, কিশোরীর সঙ্গে যা কিছু ঘটেছে, তা তার সম্মতি নিয়েই করা হয়েছিল৷

কৌঁসুলিরা অভিযুক্তদের সাত বছর কারাবাসের শাস্তি দাবি করেছিলেন বলে লিখেছে ডিপিএ৷

অন্য দুই অভিযুক্তকে অপেক্ষাকৃত কম শাস্তি প্রদান করা হয়েছে৷ তাদের এক জনকে দু'বছরের এবং অন্যজনকে এক বছর আটমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ বাকি দু'জনকে অন্যের তত্ত্বাবধানে সংশোধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

গণধর্ষণের এই ঘটনা প্রমাণে বড় ভুমিকা রেখেছে একটি ভিডিও ফুটেজ৷ অভিযুক্তদের একজন পুরো ঘটনা তার স্মার্টফোনে ভিডিও করেন৷ পুলিশ সেই ফুটেজ উদ্ধারে সক্ষম হয়৷ পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষা এবং পথচারী নারীর জবানবন্দিও এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে৷

তবে ভুক্তভোগী কিশোরী নিজেই পুলিশের তদন্তে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে৷ সে ফেসবুকে এক অভিযুক্তর ছবি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়৷ এরপর পুলিশ সেই অভিযুক্তকে দ্রুত আটক করে এবং তার ফোন থেকে ভিডিও ফুটেজটি উদ্ধার করে৷ পরবর্তীতে এই ফুটেজ দিয়ে অন্যান্য অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়৷

নাটালি ম্যুলার/এআই