কুম্ভমেলায় করোনার থাবা, ভারতের হাসপাতালে সব বেড ভর্তি
করেনাকালেও কুম্ভমেলায় লাখো মানুষের ভিড়। করোনা বাড়ছে সেখানেও। গোটা ভারতেই অবস্থা ভয়ঙ্কর। হাসপাতালে বেড খালি নেই।
কুম্ভের ভিড়
হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন। একমাস ধরে চলে কুম্ভমেলা। এর মধ্যে দুইবার শাহি স্নান হয়েছে। একটি হিসেব বলছে, একটি স্নানে একসঙ্গে ২৮ লাখ মানুষ ছিলেন সেখানে। করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে কুম্ভমেলায়। তাও মানুষের আসার শেষ নেই।
৩০ জন সাধুর করোনা
একদিনেই ৩০ জন সাধু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে পুণ্যলাভের আশায় যে অসংখ্য মানুষ সমবেত হয়েছেন, তাদের মধ্যেও করোনা ছড়াচ্ছে দ্রুত।
আখড়ার সিদ্ধান্ত
দুইটি আখড়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা শনিবারই কুম্ভমেলা ছেড়ে চলে যাবে। নিরঞ্জনী আখড়া ও তপোধন শ্রী আনন্দ আখড়া। মোট ১৩টি প্রধান আখড়া কুম্ভে আসে। তার মধ্যে নিরঞ্জনী আখড়া যথেষ্ট প্রভাবশালী। প্রচুর নাগা সন্ন্যাসী এই আখড়ার সঙ্গে যুক্ত। তারা জানিয়েছে, আখড়ার সাধুরা শনিবার স্নান করে হরিদ্বার ছাড়বেন। কুম্ভের অবস্থা ভালো নয়। তাদের অনেক সাধুর মধ্যে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
সাধুর মৃত্যুর পর
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রদেশের নিরওয়ানি আখড়ার প্রধান মহামণ্ডলেশ্বর কপিল দেব দাসের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই আখড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর কুম্ভে এত মানুষ এসেছেন ও স্নান করছেন যে সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনাকালে কেন এভাবে কুম্ভমেলা
এই অবস্থায় বারবার প্রশ্ন উঠছে, করোনাকালে কেন এইভাবে কুম্ভমেলা হচ্ছে? কেন কুম্ভে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না? করোনার সময়ে দিল্লিতে সব ধরনের জমায়েত বন্ধ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও তাই। সেখানে হরিদ্বারে লাখো মানুষ জমায়েত হয়েছেন। রাজ্য সরকার বলছে, তারা মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দেবে না।
হাসপাতাল ভর্তি
এত দ্রুত করোনা ছড়ানোয় হাসপাতালের সব বেড ভর্তি। দিনভর চেষ্টা করেও করেনা আক্রান্তরা হাসপাতালে জায়গা পাচ্ছেন না। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, কলকাতা সহ সব জায়গার ছবিই এক। উপরের ছবিটি নয়ডার হাসপাতালের।
ওষুধ নেই
করোনা রোগীকে অনেক সময়ই রেমডেসিভির দেন চিকিৎসকরা। সেই রেমডেসিভির পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার আরো একশটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর অনুমতি দিয়েছে। অক্সিজেন পাওয়া নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উপচে পড়া রোগী
দিল্লিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না হাসপাতালগুলি। এইমসের মতো হাসপাতালের প্রধান জানিয়েছেন, তাদের প্রচুর নার্স করোনায় আক্রান্ত। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, দিল্লি সরকারের হাসপাতালে একটা সিঙ্গল বেডে দুইজন করোনা রোগীকে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।