1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুম্ভে জাল হয়েছিল এক লাখ করোনা রিপোর্ট

১৫ জুন ২০২১

জাল করোনা রিপোর্ট দেখিয়ে কুম্ভমেলায় অংশ নিয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3uvBo
কুম্ভমেলা
ছবি: Xavier Galiana/AFP

করোনাকালে কুম্ভমেলার আয়োজন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের সমালোচনা করেছিলেন অনেকেই। চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, কুম্ভমেলার ভিড় থেকে উত্তর ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সম্প্রতি কুম্ভমেলার করোনা টেস্ট নিয়ে আরো ভয়াবহ তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগ, প্রায় এক লাখ টেস্টের রিপোর্ট জাল। অর্থাৎ, টেস্ট না করেই নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি পাঞ্জাবের এক ব্যক্তির মোবাইলে একটি করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে। রিপোর্টটি খুলে তিনি দেখেন, হরিদ্বার থেকে রিপোর্টটি এসেছে। যেখানে কুম্ভমেলার আয়োজন হয়েছিল। পাঞ্জাবের ওই ব্যক্তি কুম্ভে যাননি। করোনার টেস্টও করাননি। জাল রিপোর্টটি নিয়ে তিনি মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। প্রায় এক লাখ রিপোর্ট এভাবেই জাল করা হয়েছিল।

কুম্ভমেলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে আদালত বলেছিল প্রতিদিন অন্তত ৪০ হাজার টেস্ট করতে হবে। সেই মোতাবেক ২২টি এজেন্সিকে টেস্টের দায়িত্ব দেয় কুম্ভমেলা কমিটি। তেমনই একটি এজেন্সি পাঞ্জাবের ওই ভদ্রলোককে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক লাখ জাল করোনা রিপোর্ট তারা তৈরি করেছিল। একই ফোন নম্বরে, একই ঠিকানায় হাজার হাজার মানুষের নাম এন্ট্রি করা হয়েছিল। সেই জাল রিপোর্ট দেখিয়ে লাখ লাখ মানুষ কুম্ভে শাহী স্নানে অংশ নিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, ওই এজেন্সির স্যাম্পেল কালেক্টর হিসেবে যাদের নাম নথিভুক্ত আছে, তারাও কেউ কুম্ভে যায়নি। অধিকাংশই রাজস্থানের ছাত্র। তেমনই এক ছাত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তিনি কোনোদিন কুম্ভে যাননি। একটি ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে ভর্তি হয়েছেন রাজস্থানে। সেখানে তার কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই তথ্যই ওই এজেন্সি ব্যবহার করেছে।

গোটা বিষয়টির পিছনে বিশাল প্রতারণা চক্র কাজ করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অন্য এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার বিশেষ তদন্তের ব্যবস্থা করেছে।

প্রশ্ন উঠছে, সরকারের নাকের ডগায় এত বড় ঘটনা ঘটল কী ভাবে? সরকারকে অন্ধকারে রেখে এমন ঘটনা ঘটা কঠিন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বস্তুত, কুম্ভ নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয়েছিল, উত্তরাখণ্ড সরকার তখন স্পষ্টই বলেছিল, কোনোভাবেই মেলা বন্ধ করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারও একই কথা বলেছিল। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি এই কলেঙ্কারির শিকড় অনেক গভীরে?

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)