1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুয়েত এয়ারওয়েজের পক্ষে রায়

১৭ নভেম্বর ২০১৭

কুয়েত এয়ারওয়েজ এক ইসরায়েলি যাত্রীকে তাঁর নাগরিকত্বের জন্য বিমানের টিকিট দেয়নি৷ অথচ তাতে কোনো আইন ভঙ্গ হয়নি বলে জানিয়েছে ফ্রাংকফুর্টের আদালত৷ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই৷

https://p.dw.com/p/2nnh2
Großbritannien London - Flugzeug von Kuwait Airlines
ছবি: Imago/R. Wölk

জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরের একটি আদালত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি নাগরিকদের শুধুমাত্র তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য বিমানে বহন না করার আইনি অধিকার রয়েছে কুয়েত এয়ারওয়েজের৷ আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, একজন ব্যক্তিকে বহন করায় যদি কুয়েতের বেশ কয়েকজন মানুষকে ভয়াবহ আইনি পরিনতির শিকার হতে হয়, তাহলে তা করা যুক্তিসঙ্গত নয়৷

কুয়েতের আইন অনুযায়ী, কুয়েতি কোনো কোম্পানিইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম ব্যবসা করতে পারবে না৷ অর্থাৎ সেই আইন অনুযায়ী, ইসরায়েলি কোনো নাগরিককে বিমান টিকিটও দিতে পারবে না কুয়েত এয়ারওয়েজ৷

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কুয়েত এয়ারওয়েজে ফ্রাংকফুর্ট থেকে কুয়েত সিটি হয়ে ব্যাংককে যেতে চেয়েছিলেন এক ইসরায়েলি৷ কিন্তু বিমান কোম্পানি তাঁকে টিকিট দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আদালতে মামলা করেন তিনি৷

ফ্রাংকফুর্ট ছাড়াও সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একইধরনের মামলার শিকার হয়েছে কুয়েত এয়ারওয়েজ৷ সেসব দেশের আদালত অবশ্য বিমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির বিপক্ষে রায় দিয়েছে৷

জার্মানির আদালতের রায় পক্ষে গেলেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে কুয়েত এয়ারওয়েজ৷ ফ্রাংকফুর্টের মেয়র উয়ে বেকার এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমার মতে, একটি এয়ারলাইন, যারা কিনা ইসরায়েলের যাত্রী বহন না করে বৈষম্য এবং ইহুদিবিদ্বেষ চর্চা করছে, তাদের ফ্রাংকফুর্টে উড্ডয়ন বা অবতরণের অনুমতি দেয়া উচিত নয়৷''

মামলা ঠুকে দেয়া ইসরায়েলির আইনজীবী নাথান গেলবার্টও আদালতের রায়ের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘এটি গণতন্ত্র এবং সামগ্রিকভাবে জার্মানির জন্য একটি লজ্জাজনক রায়৷''

এআই/ডিজি (ডিপিএ)