1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেনিয়ার ‘জেমস বন্ড'-এর নাম জুলিয়াস মুইথালি

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সপ্তাহ দু'য়েক আগে বিরোধী নেতা রাইলা ওডিঙ্গার হেলিকপ্টারের ল্যান্ডিং স্কিডগুলো আঁকড়ে আকাশে ওঠেন ২৮ বছর বয়সি এক বেকার যুবক৷ তাঁর স্বপ্ন ছিল, ওডিঙ্গা তাকে একটি চাকরি দেবেন৷

https://p.dw.com/p/2X5QB
USA Waldbrände in Kalifornien
ছবি: Reuters/G. Blevins

ইগেম্বে সেন্ট্রাল এলাকার মাইলি টাটু স্টেডিয়াম থেকে আকাশে উঠছিল ওডিএম নেতা রাইলা ওডিঙ্গার হেলিকপ্টার৷ চতুর্দিকে মানুষের ভিড়, তার মধ্যে কেউ খেয়ালই করেনি যে, হেলিকপ্টার মাটি ছেড়ে আকাশে ওঠার আগেই এক ব্যক্তি তলার স্কেটের মতো ল্যান্ডিং স্কিডগুলো আঁকড়ে ধরে হেলিকপ্টারের সাথে আকাশে ওঠার ব্যবস্থা করে নিয়েছে৷

সেটা বোঝা যায়, হেলিকপ্টার যখন বেশ খানিকটা উপরে উঠে মুখ ঘুরিয়ে দিক পরিবর্তন করতে শুরু করেছে৷ জুলিয়াস মুইথালি যেন নীচে জনতার দিকে হাতও নাড়েন৷

পরে যখন মুইথালিকে মাউয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তখনও তাঁকে বিশেষ দুঃখিত বা অনুতপ্ত দেখা যায়নি৷ তিনি জানান যে, তিনি বেকার এবং ওডিঙ্গার সমর্থক৷ তিনি নাকি বহুদিন ধরে এই পরিকল্পনা করছিলেন৷

আকাশে ওঠার পর বাতাসের জোর দেখে মুইথালির প্রথমবার সত্যিই ভয় করে ও তিনি বাইরে থেকে হেলিকপ্টারের ভিতরে ঢুকে ওডিঙ্গার সঙ্গে কথা বলার আশা পরিত্যাগ করেন৷ নয়তো তিনি নাকি ওডিঙ্গার কাছে একটি চাকরি চাইতেন৷

চাকরির বদলে জুলিয়াস মুইথালিকে মাউয়ার আদালতে মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন৷ মুইথালি আদালতের কাছে তাঁর ব্যক্তিগত মুচলেকায় মুক্তির আবেদন করেন, কেননা তিনি অত্যন্ত গরীব৷

তাঁর বাবা নাকি তাঁর দুই বোনের পা কেটে ফেলার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে চলেছেন৷ ফলে পরিবারে অর্থোপার্জনের জন্য জুলিয়াস ছাড়া আর কেউ নেই৷ জুলিয়াস মাটির নীচে ‘মোল' বা ছুঁচো মেরে সংসার চালিয়ে থাকেন৷

মজাই বোধহয় এই, ওপরে আকাশ থাকলেও, নীচে আফ্রিকার মাটি ও তার কঠিন বাস্তব৷

এসি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য