1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট

গৌতম হোড়
২৪ মে ২০২১

বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন, সেখানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়।

https://p.dw.com/p/3tqS6
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছবি: DW/P. Samanta

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দেয়া নিয়ে বিতর্কে নতুন মোড়। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে লকেট হেরেছিলেন। তবে ডিডাব্লিউকে লকেট জানিয়েছেন, ''রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা মার খাচ্ছেন। নির্যাতন সহ্য করছেন। এই অবস্থায় আমি নিজের নিরাপত্তা ছেড়েছি।'' প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন লকেট। রোববার থেকে তার আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেই।

লকেটের ওয়াই পর্যায়ের নিরাপত্তা ছিল। তার নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফের জওয়ানরা নিযুক্ত ছিলেন।

রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ডিডাবব্লিউকে জানিয়েছেন, ''বিজেপি বিধায়কদের সাময়িকভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। ফলাফল বেরনোর কয়েকদিন পরে তাদের তা ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ শুরু হওয়ায় তার মেয়াদ সামান্য বেড়েছে। চলতি মাসের মধ্যে অনেকেই নিরাপত্তা ছেড়ে দেবেন।''

বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিন কয়েক আগেই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকেও ওয়াই পর্যায়ের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। দুজনেই সাংসদ। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো বিজেপি-তে যোগ দেননি।

এই পরিস্থিতিতে লকেটের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সায়ন্তনের মন্তব্যও। কারণ, বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা নেই, শুধু বিধায়ক, সাংসদরা নিরাপত্তা পাচ্ছেন, এ নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে বলে বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে। লকেট অবশ্য জানিয়েছেন, ''আমি লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছি। তার আগে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করেছি। মার খেয়েছি। কারো কথায় নয়, মানবিকতার খাতিরেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ছি।''

সায়ন্তনের কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি কর্মীরা যেখানে মার খাচ্ছেন, সেখানে দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে। সে জন্যই এখন অধিকাংশ বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দেবেন বলে সায়ন্তন জানিয়েছেন। সেটা হলে, বিধায়ক-সাংসদদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিতর্ক শেষ হতে পারে।