1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুর্দিদের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য

১৫ আগস্ট ২০১৪

ইরাকের বর্তমান সংকট অবসানের লক্ষ্যে একদিকে কুর্দি এলাকার জন্য মানবিক ও সামরিক সাহায্যের উদ্যোগ চলছে৷ অন্যদিকে ক্ষমতাকেন্দ্রে পালাবদলের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব ঐক্য দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1CuZy
Jesiden auf der Flucht in Nordirak 10.08.2014
ছবি: Reuters

দেশের পরিস্থিতি সংকটজনক, তা সত্ত্বেও গদি আঁকড়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি৷ সংসদ তাঁর উত্তরসূরি স্থির করে ফেলা সত্ত্বেও তিনি নতুন বাস্তব মেনে নিতে অনড়৷ চারিদিকে শুধু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন৷ অথচ মালিকি সম্পূর্ণ একঘরে হয়ে পড়েছেন৷ তাঁর নিজের রাজনৈতিক দল ও বৃহত্তর শিয়া জোট তাঁকে বর্জন করেছে৷ এমনকি তাঁর অতীতের ‘স্পনসর' ইরানও ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হায়দার আল-আবাদিকে স্বাগত জানিয়েছে৷ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই এবং ইরাকের শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি আল-সিস্তানি সরাসরি আবাদির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন৷ জাতিসংঘও আবাদির মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তাঁর আর এক সমর্থক মার্কিন প্রশাসনও বেশ কিছু কাল ধরেই মালিকিকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে দায়ী করে আসছিল৷

আপাতত মালিকির একমাত্র আশা সুপ্রিম কোর্টের রায়৷ তাঁর যুক্তি, সংসদের সবচেয়ে বড় জোট হিসেবে তাঁকেই সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানানো উচিত৷ এই রায় তাঁর বিপক্ষে গেলে অবশেষে তাঁকে হার মানতেই হবে৷

মালিকির প্রায় ৮ বছরের শাসনকালে দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বোঝাপড়ার বদলে বিভাজনই প্রকট হয়ে উঠেছে৷ সুন্নিদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে, উত্তরে কুর্দিদের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে৷ এমনকি সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়কেও ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি মালিকি৷ এই বিভাজনের রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সব পক্ষকে নিয়ে এগিয়ে চলতে চান হায়দার আল-আবাদি৷ তিনি নিজের ভবিষ্যৎ প্রশাসনের রূপরেখা স্থির করতে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন৷

ইরাকের ক্ষমতাকেন্দ্রে আসন্ন পালাবদলের মাঝে দেশের উত্তরে চলছে কট্টরপন্থি আইসিস জঙ্গিদের তাণ্ডবলীলা৷ সংখ্যালঘু ইয়াজিদি ও খ্রিষ্টানরা তাদের রোষের শিকার হচ্ছে৷ সরকারি বাহিনী ও কুর্দি পেশমারগা বাহিনী তাদের মোকাবিলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নও অবরুদ্ধ ইয়েজিদিদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে৷ সেইসঙ্গে কুর্দি বাহিনীকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আরও শক্তিশালী করে তোলার উদ্যোগও চলছে৷ ফ্রান্স অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা করেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পারস্পরিক সমন্বয় করতে বৈঠকে বসবেন৷

তবে মাউন্ট সিনজার-এ আটকে পরা ইয়াজিদিদের উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজন হবে না বলে মনে করছে মার্কিন প্রসাশন৷ কারণ গত কয়েক দিনে আইসিস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলার ফল দেখা যাচ্ছে৷ অনেক মানুষ এই সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে পেরেছে৷ যারা এখনো সেখানে রয়েছে, তাদের অবস্থা তেমন সংকটজনক নয়৷

মার্কিন প্রশাসন সহ পশ্চিমা জগত, ইরান, সৌদি আরব সহ আরব জগত – সব পক্ষই এ বিষয়ে একমত যে, ইরাকের ক্ষমতাকেন্দ্রে পালাবদল ঘটলে বর্তমান সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের পথ প্রশস্ত হতে পারে৷ সরকারে দেশের সব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে আইসিস-এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠী দুর্বল হয়ে পড়বে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য