1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোপেনহেগেনে হর্নেমানদের বাড়ি

৩০ মার্চ ২০১৭

গৃহকর্ত্রী নিজেই ইন্টিরিয়র ডেকরেটর ও ডিজাইনার৷ রং বা আসবাব বাছাইয়ের কাজটা তাঁর কাছে ব্যবহারিক উপযোগিতা আর শিল্পকলার একটা বিশেষ সংমিশ্রণ৷

https://p.dw.com/p/2aHtj
Kopenhagen Copencabana Strand
কোপেনহাগেন শহরছবি: Wikipedia

নিজেই বাড়ির নকশা করা

লেনে হাল্সে হর্নেমান বললেন, ‘‘কোপেনহেগেনে আমাদের বাড়িতে স্বাগতম৷ আপনাদের দেখাব, আমরা কীভাবে থাকি....ভেতরে আসুন৷ এই কুকুররা, তোরাও ভেতরে আয়!’’

দু'টি রঙের প্রাধান্য: পাঁশুটে আর কালো, আর এই দু'য়ের মাঝামাঝি নানা রং৷ গৃহকর্ত্রী এ সব দিয়ে তাঁর নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ কেননা রং পছন্দ করাটা লেনে হাল্সে হর্নেমানের কাছে একটা আবেগপূর্ণ প্রক্রিয়া৷

লেনে বললেন, ‘‘রং খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ রং যেন কোথাও বেড়াতে নিয়ে যায়, কত ধরনের জায়গার কথা মনে করিয়ে দেয়, যেন গল্পের মতো, কত জায়গায় যাবার, কত কী করার জিনিস৷ যে কারণে এ বাড়িতে শুধু ঘরের ছাদগুলো ছাড়া সাদা বলে কিছু নেই৷’’

কাজেই এত কালো আর পাঁশুটে রং সত্ত্বেও পরিবেশটা বেশ উষ্ণ৷ এক্ষেত্রে আলোর একটা বিশেষ ভূমিকা আছে৷ নতুন করে লাগানো বড় বড় জানলা দিয়ে বাইরের আলো এসে পড়ে৷

আলো ও উষ্ণতা

বসবার ঘরের কেন্দ্রেই রয়েছে ফায়ারপ্লেস, যেমন রয়েছে নানা ধরনের বাতি – ডিজাইনার ল্যাম্প থেকে শুরু করে ফ্লিমার্কেটে যেসব পুরনো বাতি পাওয়া যায়৷ সন্ধ্যেয় বা শীতের দিনে এই সব বাতি আলো ও উষ্ণতা ছড়ায়৷

লেনে শোনালেন, ‘‘আমি চাইলাম এমন একটা জায়গা তৈরি করতে, যেখানে থাকতে ভালো লাগে৷ আমাদের তো শুধু এই মুহূর্তটুকুই আছে, সেই মুহূর্তটিতে আমরা যে জায়গায় কাটাতে চাই – আমি তেমন একটা জায়গা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম৷ শুধু আমার জন্য নয়, কেননা, আমি এখানে একা থাকি না৷ তাই জায়গাটা পরিবারের সকলের জন্যই চেয়েছিলাম৷’’

লেনে হাল্সে হর্নেমান তাঁর স্বামী হান্স, ওঁদের ছেলেমেয়ে ও তিনটি কুকুরকে নিয়ে এখানে বাস করেন৷ গোটা পরিবার যেখানে একত্রিত হয়, সেই জায়গাটি হলো কিচেন বা রান্নাঘর৷

কিচেন শুধু রান্নাঘর নয়

অন্যদের জন্য কিচেন ডিজাইন করে দেওয়া হলো লেনে-র পেশা৷ নিজের কিচেনটিকে কিন্তু তিনি শুধু রান্নাঘর হিসেবে ডিজাইন করেননি, বরং কিছুটা শিল্পকলা হিসেবেও করেছেন৷

লেনে জানালেন, ‘‘এটা একটা কিচেন বটে, কিন্তু শুধু কিচেন নয়৷ এই গ্র্যানাইট শিলা পাথরের পাতটা ব্রাশ করা, পালিশ করা নয় – ফলে এটা দেখতে অনেক নরম৷ তলার ক্যাবিনেটটা আবার কাঠের তৈরি, একটির পর একটি ড্রয়ার৷ ড্রয়ার টিপে দিলে তা নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে – ইলেকট্রনিক লাগানো বলে৷ কাজেরও বটে, আবার দেখতেও ভালো৷’’

তিনতলা বাড়িটা আগে ছিল একটা ক্লিনিক৷ এখন তা থেকে মোট ৪০০ বর্গমিটার এলাকার একটি বসতবাড়ি তৈরি হয়েছে৷ হর্নেমান পরিবারের কাছে বাড়িতে প্রচুর জায়গা থাকাটা জরুরি৷

‘মাই হোম ইজ মাই ক্যাসল’

হান্স হর্নেমান বললেন, ‘‘নিজের বাড়ি, মানে নিজের দুর্গ৷ চারপাশে এমন সব জিনিস থাকা চাই, যা আমি উপভোগ করি, যা আমার ভালো লাগে৷ ড্যানিশ ভাষায় ‘হুইগ্গে' কথাটার মানে হলো নিরিবিলি, পরিচ্ছন্ন, আরামপ্রদ৷ এটা ড্যানিশ সংস্কৃতির একটা বড় অংশ৷’’

লেনে শোনালেন, ‘‘আমরা এখনও অনেক বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে বাড়িতে নিয়ে আসি৷ কাজেই আমাদের বাড়িতে লোক আসে, ফলে আমরা কীভাবে থাকি, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়, সুন্দর সুন্দর জিনিস রাখতে হয়৷ শুধু সুন্দরই নয়, মান ভালো হওয়া চাই৷ তাতে আরো বেশি মজা৷’’

লেনে হাল্সে হর্নেমান এর আগেও বাড়ি কিনে সারিয়েছেন – অংশত নিজেদের থাকার জন্য৷ কাজেই আগামীতে যে তিনি আবার কখন কোন ‘কুৎসিত হাঁসের ছানা’ খুঁজে পেয়ে তাকে সুন্দরী রাজহংসীতে পরিণত করেন, কে জানে৷

 গ্যোনা কেটেল্স/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান