1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষতি ১০৪ কোটি টাকা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ মার্চ ২০১৪

নবম জাতীয় সংসদে সাংসদদের অনুপস্থিতি, তথা কোরাম সংকটের কারণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১০৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা৷ মঙ্গলবার ‘নবম পার্লামেন্ট ওয়াচ' প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি৷

https://p.dw.com/p/1BROA
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo


টিআইবি-র প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ সদস্যরা নির্ধারিত সময়ের পরে সংসদে উপস্থিত না হওয়ায় কোরাম সংকট হয়েছে মোট ১৯টি অধিবেশনে ২২২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট, যা প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৩২ মিনিট৷ অর্থাৎ, সংসদ পরিচালনা করতে প্রতি মিনিটে গড়ে ৭৮ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কারণে এই ২২২ ঘণ্টায় মোট অপচয় হয় ১০৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা৷

সংসদ সদস্য হিসেবে একজন এমপি মাসিক ভিত্তিতে সম্মানী বাবদ ২৭ হাজার, আপ্যায়ন ৩ হাজার, এলাকা ভাতা ৭ হাজার ৫০০, গাড়ি বাবদ ৪০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন ভাতা মিলিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার বেশি সুবিধা ভোগ করেন৷ এ হিসাবে তারা এক কার্যদিবসের জন্য ৩ হাজার ৫৫৮ টাকা ভোগ করেন৷ কিন্তু নবম সংসদে সরকার দলীয় ৬০ শতাংশ সাংসদ সংসদে দুই তৃতীয়াংশ কার্যদিবস উপস্থিত না থেকেই সম্পূর্ণ গ্রহণ করেছেন৷

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নবম সংসদে আইন প্রণয়নে মোট সময়ের মাত্র ৮ ভাগ সময় ব্যয় করা হয়েছে৷ এর মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন মাত্র ৩ থেকে ৪ মিনিটের আলোচনায় পাস হয়েছে৷ এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষ ৰতিগ্রসত্ম হচ্ছে৷ সংসদ সদস্যদের নিয়ম নীতির মধ্যে আনতে আইন করা যেতে পারে৷

টিআইবি-র ট্রাস্টি এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্যরা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন৷ তাঁদের উচিত, ঠিকমত দায়িত্ব পালন করা৷ তাঁরা ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করায় দেশের সাধারণ মানুষের অর্থের অপচয় হচ্ছে৷''

Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
নবম সংসদে সরকার দলীয় ৬০ শতাংশ সাংসদ সংসদে দুই তৃতীয়াংশ কার্যদিবস উপস্থিত না থেকেই সব সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করেছেনছবি: AP

তিনি বলেন, ‘‘আরো লক্ষণীয় যে সংসদ সদস্যদের যে মূল কাজ, সেই আইন প্রণয়নে তাঁরা সময় দিচ্ছেন না৷ কয়েক মিনিটেই আইন পাশ হয়ে যাচ্ছে, যা স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে৷ এর সঙ্গে সঙ্গে সাংসদরা তাঁদের পদের প্রতি অবিচারও করছেন৷''

হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘‘সংসদ সদস্যদের উচিত নিজ থেকেই দায়িত্বশীল হওয়া৷ এছাড়া দলের পক্ষ থেকে তাঁদের দায়িত্বশীল হওয়ার জন্যও চাপ দেয়া উচিত৷ এক্ষেত্রে হুইপরা তাঁদের সতর্ক করতে পারেন৷ প্রয়োজনে আইনও করা যায়৷ অবহেলার জন্য জরিমানার বিধান করা যেতে পারে, যদিও বিষয়টি সংসদ সদস্যদের জন্য অপমানজনক হতে পারে৷''

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘বর্তমানে যে সংসদ রয়েছে তা বিরোধী দল বিহীন সংসদ৷ আর বিরোধী দল বিহীন সংসদ কোনোদিনই দীর্ঘস্থায়ী হবে না৷ বর্তমান সংসদে আক্ষরিক অর্থে বিরোধী দল রয়েছে, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কোনো বিরোধী দল নেই৷ দেশের স্বার্থে আমাদের দ্রুত এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য