1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যানাডার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮

২১ এপ্রিল ২০২০

ক্যানাডায় বন্দুকধারীর আক্রমণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়লো। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণের কারণ এখনও অজানা।

https://p.dw.com/p/3bCXU
ছবি: picture-alliance/empics/The Canadian Press/A. Vaughan

ক্যানাডার পুলিশ সোমবারই জানিয়েছিল নোভা স্কটিয়ায় বন্দুকধারীর আক্রমণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। সোমবার রাতে তারা জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত নোভা স্কটিয়ার বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে ওই ব্যক্তি। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অনেকেই ওই বন্দুকধারীর পরিচিত ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত আক্রমণের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার ক্যানাডার পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানায়। বলা হয়, গ্যাব্রিয়েল নামে ওই বন্দুকধারী শনিবার রাত থেকে হামলা শুরু করে। তার পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। যে গাড়িটি সে ব্যবহার করেছিল তা পুলিশের না হলেও অনেকটা পুলিশের গাড়ির মতোই দেখতে। এক জায়গায় নয়, নোভা স্কটিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সারা রাত ধরে ঘুরে বেড়িয়েছে ওই বন্দুকধারী। বেছে বেছে হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, যাঁদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাঁদের অনেকেই গ্যাব্রিয়েলের পূর্ব পরিচিত। কিন্তু কেন সে এ কাজ করলো, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। পুলিশের দাবি, রোববার সকাল পর্যন্ত হামলা চালিয়ে গিয়েছে বন্দুকধারী। প্রায় ১২ ঘণ্টা এ ভাবে চলার পরে একটি গ্যাস স্টেশনে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়।

ক্যানাডার পরিচিত শহর হ্যালিফ্যাক্স থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নোভা স্কটিয়া। অতি অল্প লোকই বসবাস করেন সেখানে। একেবারেই ছোট শহর। আপাত নিস্তরঙ্গ সেই শহর এমন ঘটনা ঘটে যাবে, কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। বস্তুত, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যানাডার ইতিহাসে এটাই সব চেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এর আগে ১৯৮৯ সালে মনট্রিয়ালে ইকোল পলিটেকনিকে এমন হামলা হয়েছিল। সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪ জন নারী।

শনিবার রাতের হামলায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের কেউ পুলিশ, কেউ শিক্ষিকা, কেউ বা স্বাস্থ্যকর্মী। অর্থাৎ, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপরেই হামলা চালিয়েছিল ওই বন্দুকধারী। কোনও কোনও মহল প্রশ্ন তুলছে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সংযোগ আছে কি না। তবে ক্যানাডার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য তাদের হাতে আসেনি।

সোমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভুতি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই ভয়ঙ্কর ঘটনা কেন ঘটল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে। ক্যানাডা এমন ঘটনা বরদাস্ত করে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)