1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যান্সার নিয়েও সকলকে মুগ্ধ করছেন বারবারা, অনুরাগ

১ জুন ২০১০

বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়৷ দারুণ সুন্দরী, ‘কাইটস' ছবির তন্বী মেক্সিকান নায়িকা বারবারা মোরি আসলে ক্যান্সারের রোগী৷ কিন্তু সেই লড়াই জিতে নিয়েছেন তিনি৷ তারপরে জিতে নিচ্ছেন দর্শকের হৃদয়ও৷

https://p.dw.com/p/NeLP
কে জানত, হাসির পেছনে এত বেদনা!ছবি: AP

অফুরন্ত সুন্দর হাসি, একরাশ গভীর চুল, লাবণ্যময় চেহারা, যৌবনের প্রাচুর্যে ভরপুর বারবারা মোরি ক্যান্সারের রোগী! এই কথাটা বিশ্বাস না হলেও এর চেয়ে বড় সত্যি আর নেই৷ এতদিন স্প্যানিশ ভাষাভাষী বিশ্বে তাঁর অভিনেত্রী পরিচয় বেশ সুবিদিত ছিল৷ ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে ‘কাইটস' ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে বারবারা এখন এশিয়াতেও বেশ পরিচিত মুখ৷ বহু কোটি টাকার এই হিন্দী স্প্যানিশ দ্বিভাষিক ছবিটি ভারতে তেমন ব্যবসা করতে না পারলেও আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বলিউডের এই চোখ ধাঁধানো ছবিটি কিন্তু বেশ আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে৷ ফলে, বারবারাও এখন আন্তর্জাতিক তারকা৷

সুন্দরী বারবারা নিজেই জানিয়েছেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি৷ অপারেশনও করতে হয়েছিল তাঁকে৷ এখনও নিয়মিত চিকিত্সার সহায়তা নিতে হয় এই নায়িকাকে৷ কিন্তু তিনি সফল৷ তিনি দর্শকের ভালোবাসাও পেয়েছেন৷ পেয়েছেন কোটি কোটি মানুষের মুগ্ধতাও৷

Mexico Schauspielerin Barbara Mori
‘কাইটস’ তেমন সাফল্য না পেলেও বারবারা’কে ভোলা সহজ হবে নাছবি: AP

নিজের এই গোপন দুঃখ বারবারা ভাগ করে নিতে পেরেছেন ‘কাইটস' ছবির বাঙালি পরিচালক অনুরাগ বসুর সঙ্গ৷ কারণ, অনুরাগ নিজেও রক্তের ক্যান্সার বা লিউকোমিয়ার রোগী৷ অনুরাগ বলেছেন, এই দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পরেই জীবনের প্রতি আরও বেশি মমতা বোধ করেছেন তিনি৷ করতে পেরেছেন তাঁর জীবনের সেরা কাজগুলোও৷ অনুরাগের মতে, ‘একজন ভালো মানুষ করে আমাকে গড়ে তুলেছে এই রোগের যন্ত্রনা৷'

বারবারাও বলেছেন প্রায় একইরকম কথা৷ বলেছেন, এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে চালাতে নিজের জেদ অনেকখানি বেড়েছে তাঁর৷ মনে হয়েছে, ভালো কাজ করতে হবে৷ আরও ভালো কাজ করতে হবে৷ আরও ভালো কিছু৷

আমরা বলব, কুর্নিশ জানালাম তোমাকে, বারবারা৷ কুর্নিশ তোমাকেও অনুরাগ৷ যে অসুখের নাম শুনলেই বহু মানুষ অর্দ্ধমৃত হয়ে যায়, নিজেদের দেহে তাকে বহন করেও তোমরা কোটি কোটি মানুষের মনোরঞ্জন করছ৷ তাই তোমাদের প্রতি আমাদের মুগ্ধতা, আমাদের অনুরাগ আরও বেড়ে গেল৷ বেড়ে গেল শ্রদ্ধা, ভালোবাসাও৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন