1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রিকেটের বিখ্যাত সব স্লেজিং

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারকে লক্ষ্য করে বাঁকা কথার প্রচলন সেই শুরু থেকেই দেখা যায়৷ তবে অনেক সময় এসব স্লেজিং জন্ম দেয় মজার মজার সব ঘটনার৷ তেমন কিছু ঘটনাই এবার পড়ে দেখুন৷

https://p.dw.com/p/10FBp

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একবার ইংল্যান্ডের ম্যাচ চলছিল৷ ব্যাট করতে নেমেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম৷ গার্ড নেওয়ার সময় পেছন থেকে অসি দলের উইকেট কিপার রড মার্শ বোথামকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘‘তা, তোমার বউ কেমন আছে, আর আমার বাচ্চারা?'' বোথাম পেছনে তাকিয়ে বললেন, ‘‘বউ ভালই আছে, কিন্তু বাচ্চাগুলো তো সব প্রতিবন্ধী৷''

দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যারিল কালিনান বরাবরই লেগ স্পিনে একটু দুর্বল ছিলেন৷ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ, মাঠে নেমে ক্রিজের দিকে যাচ্ছেন ড্যারিল কালিনান৷ এমন সময় পাশ থেকে অসি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন তাকে দেখে বললেন, যে গত দুই বছর ধরে তিনি নাকি অপেক্ষা করছেন কালিনানকে আরেকবার আউট করার জন্য৷ ওয়ার্নের শরীরের দিকে একবার তাকিয়ে কালিনানের জবাব, ‘‘মনে হচ্ছে এই সময়টা তুমি কেবল খেয়েই পার করেছ৷''

মাঠে নেমে মজা করা জাভেদ মিয়াঁদাদের বরাবরের অভ্যাস৷ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছেন মিয়াঁদাদ৷ বোলার মার্ভ হিউজকে দেখে তিনি বললেন ‘‘মোটা বাস কন্ডাক্টর''৷ কিন্তু কোন কিছু বললেন না হিউজ৷ একটু পর হিউজের বলে আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছেন মিয়াঁদাদ৷ পাশ থেকে হিউজের টিপ্পনি, ‘‘টিকিট প্লিজ''৷

ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জেমস ওরমোন্ড ব্যাট করতে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে৷ ক্রিজে দাঁড়ানোর পর পেছন থেকে অসি দলের মার্ক ওয়াহ বললেন, ‘‘তুমি এখানে কি করছো? ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার মত তুমি নও৷'' ওরমোন্ড মার্ক ওয়াহর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘‘হতে পারে, কিন্তু আমাদের পরিবারে আমিই সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড়৷''

ভারতের সুনিল গাভাস্কার সবসময় ওপেনিং এ ব্যাট করতেন৷ কিন্তু একদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ আর ওপেনিং নয় চার নম্বরে নামবেন৷ কিন্তু শুরুতেই ক্যারিবীয় বোলার ম্যালকম মার্শাল ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে আউট করলেন৷ গাভাস্কার যখন ক্রিজের দিকে হাঁটছেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস বললেন, ‘‘দেখেছ, তুমি যে নম্বরেই ব্যাট করো না কেন, স্কোর শূন্যই থাকে৷''

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী