1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষতিপূরণ তহবিলের সামান্য অংশ পেতে পারে বাংলাদেশ

১০ ডিসেম্বর ২০০৯

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পূরণ সংক্রান্ত তহবিলের অর্থের খুবই সামান্য অংশ বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো পাবে বলে মনে করেন এলডিসি প্রতিনিধিরা৷ তাই তহবিল পরিচালনার জন্য নতুন কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন৷

https://p.dw.com/p/KzKw
ছবি: AP

১৫তম জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনা এখন নতুন কাঠামো তৈরি, তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ধারণ আর তহবিল পরিচালনার আলোচনায় জমে উঠেছে৷ বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখনো আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে৷ কারণ যে পরিমাণ টাকা আসবে তার ছিটে ফোঁটাও কি দেশগুলো পাবে, নাকি দীর্সসুত্রিতা আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তহবিল কেবলমাত্র খাতা কলমেই আটকে থাকবে৷ এবিষয়ে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ডয়েচে ভেলে কে বলেন, এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোর পূর্ব অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাতা দেশগুলো পরামর্শ বা অবকাঠামো নিমার্ণের দোহাই দিয়ে সহায়তার বেশিরভাগ অংশই নিজেরদের পকেটে পুরে থাকে৷

ক্ষতিপূরণ তহবিলের জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত একশ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে এলডিসি ভুক্ত দেশগুলো৷ আর মিটিগেশনের জন্য প্রয়োজন আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার৷ বিভিন্ন দেশ এপর্যন্ত টাকা দিতে রাজি হলেও তার পরিমাণ বা এই অর্থ কবে দেবে তা নিয়ে জটিলতা এখনো রয়েই গেছে৷ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জি ইএফ নামের যে তহবিল রয়েছে তাও কোন কাজে আসছেনা৷ টাকা শেষপর্যন্ত সময়মতো এবং সঠিক খাতে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তাই এখন এলডিসির পক্ষ থেকে নতুন কাঠামোর জন্য দাবি তোলা হয়েছে৷

১৫ তম পরিবেশ সম্মেলনে যদি তহবিল গঠনের ব্যাপারে সত্যিই আশাব্যঞ্জক কিছু হয় তবে এলডিসি ভুক্তদেশগুলোর দাবি তা যেনো অবশ্যই আঞ্চলিক ভাবে তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা থাকে৷

এদিকে আগামী ১৪ তারিখ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশ নেবেন৷ এ ধরণের সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণ এই প্রথম৷ তাই সফল কোন সিদ্ধান্তের আশা করাই যেতে পারে বলে মনে করেন সাবের হোসেন চৌধুরী৷ তিনি বলেন, খালি হাতে হয়তো রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ফিরে যেতে চাইবেন না৷

উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের মাত্রা কতো হবে এনিয়ে বৃহস্পতিবার মিটিং হবার কথা থাকলেও এবিষয়ে কোন আলোচনাই এগোতে পারেনি৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক