1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থা আগের থেকে ভালো

১ সেপ্টেম্বর ২০১০

বুধবার প্রকাশিত ২৫ মিনিটের নতুন একটি ভিডিও’তে দেখা গেছে, চিলির খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালোর দিকে৷ এদিকে, গত ৫ আগস্ট স্বর্ণ ও তামা খনির ঐ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন খনির মালিক৷

https://p.dw.com/p/P1XP
খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকছবি: AP

সান্তিয়াগো থেকে আটশ' কিলোমিটার উত্তরে ঐ সান হোসে স্বর্ণ ও তামা খনি৷ গত ২৬ দিন ধরে এখানে আটকা পড়ে আছেন ৩৩ জন খনি শ্রমিক৷ একদিকে গরমে তাঁরা নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন৷ শরীরে দেখা দিয়েছে ছত্রাকের সংক্রমণ৷ এছাড়া, বিষণ্ণতায়ও ভুগছেন তাঁরা৷ তারপরও, বুধবার প্রকাশিত নতুন একটি ভিডিও'তে তাঁদের অবস্থা অগের তুলনায় ভালো বলে মনে করা হচ্ছে৷ আগের ভিডিও'তে খালি গায়ে দেখা গেলেও, এখন তাঁদের গায়ে নতুন টি-শার্ট এবং শর্টস৷ এমনকি, একজন শ্রমিককে বিখ্যাত ডমিনিকান শিল্পী হুয়ান লুইস গুয়েরার একটি গান গাইতেও শোনা গেছে ঐ ভিডিও-চিত্রে৷

গত সোমবার থেকেই এই খনিকূপ খননের কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকর্মীরা৷ অষ্ট্রেলিয়ার তৈরি বিশাল আকারের খনন যন্ত্র ‘এক্সক্যাভেটর' দিয়ে এই খনন কাজ শুরু হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে সরকারি একটি সূত্র৷ সেখানে বলা হয়েছে, খনন যন্ত্র দিয়ে প্রথমে ৩৩ সেন্টিমিটার প্রশস্ত গর্ত করা যাবে৷ এরপর এতে বিশেষ একটা যন্ত্র বসিয়ে ৬৬ সেন্টিমিটার প্রশস্ত গর্ত করা হবে, যাতে উদ্ধারকারী ক্যাপসুলটিকে নিচে পাঠানো যায়৷ এই ক্যাপসুল দিয়ে এক জনের পর একজন খনি শ্রমিক উপরে উঠে আসতে পারবেন৷ চিলি সরকার বলছে, উদ্ধারের এই প্রক্রিয়াটি বেশ কষ্টকর এবং তাদেরকে খুব সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে৷ কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের এই অগ্নিপরীক্ষা শেষ হতে বড়দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে৷

New York
খনন যন্ত্র ‘এক্সক্যাভেটর' দিয়েই গর্ত করা হচ্ছেছবি: AP

ওদিকে এই দীর্ঘ খনন কাজের জন্য উদ্ধারকারীদেরও পালাক্রমে কাজ করতে হচ্ছে৷ প্রধান প্রকৌশলী জর্জ সানউয়েসা শ্রমিকদের সম্পর্কে বলছেন, ‘‘তাঁরা আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবেন৷ খনিতে তাঁরা এখন কী অবস্থায় আছেন, সে বিষয়ে আমরা তাঁদের কাছ থেকেই স্পষ্ট ধারণা পেতে পারি৷''

উদ্ধার কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে রাতকে৷ কারণ এতে করে করে আটকে পড়া শ্রমিকদের সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে৷ তবে এটা তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে৷ কেননা, ২ হাজার ৩শ' ৩ ফুট নিচ থেকে একজন শ্রমিককে উপরে উঠে আসতে এক থেকে দু'ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতে পারে৷

চিলি সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা – নাসা আটকে পড়া শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক সহায়তা করার জন্য এ সপ্তাহেই একটি দল চিলিতে পাঠাচ্ছে৷ এই দলে নাসার একজন প্রকৌশলী, মনোবিজ্ঞানী ও আরেকজন চিকিৎসকের সঙ্গে নাসার ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার মাইকেল ডানকানও থাকতে পারেন৷ ডানকান বলছেন,‘‘খনির ভেতরের পরিবেশ আলাদা হতে পারে৷ কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আটকে পড়া শ্রমিকদের শারীরিক ও জরুরি অবস্থার প্রয়োজন ও প্রতিক্রিয়া একইরকম৷''

এছাড়া, চিলির খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী ‘রেডিও কো-অপারেটিভ' কে বলেছেন, ‘‘আমরা দশ ধরণের উপায় পর্যালোচনা করে দেখেছি৷ এটা ছাড়া আর বিকল্প কিছু আমরা পাইনি যে তাঁদেরকে ৩০ দিনের মধ্যেই খনি থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ