1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্যের ছবি তুলছেন আলোকচিত্রী

২৭ জুন ২০১৯

পত্রপত্রিকা ও ইন্টারনেটে খাবারের নান্দনিক ছবির অভাব নেই৷ স্পেনের এক আলোকচিত্রী খাবারের ভিন্ন ধারার অপ্রত্যাশিত ছবি তুলে চমক সৃষ্টি করছেন৷ সেই ছবির শুটিং-এর কাহিনিও বেশ মজার৷

https://p.dw.com/p/3L9Ub
Ausstellung im C/O Berlin "Food for the Eyes"
ছবি: Wolfgang Tillmans

‘ব্রেকফাস্ট' শব্দটি আক্ষরিক অর্থে নিলে রবিবারের প্রাতরাশকে ঘিরে রক্তাক্ত কাণ্ড ঘটতে পারে৷ অন্তত ‘ব্রেক ফাস্ট' নামের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সেটাই দেখা যাচ্ছে৷ এক্ষেত্রে শব্দ দু'টির অর্থ ‘দ্রুত ভাঙন'৷

স্পেনের আলোকচিত্রী টেসা ডনিগা খাদ্য ও দৈনন্দিন জীবনের ছবি তোলেন বটে, কিন্তু সে সবের প্রেক্ষাপট পুরো বদলে দেন৷ তাঁর নিজের ভাষায় এই চিত্রকর্মের বর্ণনা দিতে গেলে বলতে হয় – উদ্ধত, বিস্তারিত ও অদ্ভুত৷ ফলে তাঁর সৃষ্টিকর্ম পরাবাস্তব হয়ে উঠেছে৷ যেমন প্রাতরাশের ডিমের উপর গোলাগুলি চালানো হয়েছে৷ অথবা চাটুর বদলে ইস্তিরির উপর প্যানকেক ভাজা হয়েছে৷

ক্রিয়েটিভ ডায়রেক্টর হিসেবে টেসা মাদ্রিদের এক শপিং মল-এর ছবি তুলেছেন৷ বিলবোর্ড ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৪টি মোটিফের সাহায্যে ফ্যাশন ও খাবারের দোকান সম্পর্কে মনোযোগ আকর্ষণ করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ তবে টেসা ডনিগা সচেতনভাবে প্রচলিত ‘ফুড ফটোগ্রাফি'-র পথে যেতে চান না৷

তিনি মডেলকে সোজা হয়ে বসে জুতো ও হট ডগ সম্পর্কে তার আনন্দ প্রকাশ করতে বলেন৷ টেসা বলেন, ‘‘মানুষ আমার কাজের মধ্যে খাবার দেখতে পান বটে, তবে এমন প্রেক্ষাপটে কখনো দেখেন নি৷ মূল প্রেক্ষাপট থেকে তুলে নিয়ে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হচ্ছে৷ মডেল ও ফ্যাশনসহ খেলাচ্ছলে সেই খাবার পরিবেশন করা হয়৷''

শিল্প নিয়ে উচ্চশিক্ষার সময়ে টেসা ফটোগ্রাফি ও চলচ্চিত্র নিয়ে মেতে ওঠেন৷ ২০১৫ সালে তিনি নিজস্ব এজেন্সি খোলেন৷ তিনি বিজ্ঞাপনের জন্য চলচ্চিত্র এবং পত্রপত্রিকার জন্য ছবির সিরিজ সৃষ্টি করেন৷

তাঁর শিল্পকর্মের বৈশিষ্ট্য প্যাস্টেলের রং এবং ছবির বাহুল্যবর্জিত কম্পোজিশন৷ খাদ্যই তাঁর বিষয়৷ কখনো খামখেয়ালি, কখনো উসকানিমূলকভাবে তা তুলে ধরা হয়৷ সবকিছু তাজা ও নিখুঁতভাবে পরিবেশন করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷

দ্বিতীয় ছবির মডেলের সাজগোজের সময় টেসা বেরিয়ে পড়লেন৷ খাদ্য তখনো সেটে এসে পৌঁছায়নি৷ পরের মোটিফের জন্য তাঁর নিখুঁতভাবে তৈরি ডিমের পোচ চাই৷ স্টুডিওতে রান্নার ব্যবস্থা না থাকায় পাশের ক্যাফের পাচককে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ টেসা এমন ব্যস্ততার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ডিমের পোচ বেশ নাজুক হয়৷ এখান থেকে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটি নিয়ে নিতে পারি৷ সম্ভবত এক ঘণ্টার বেশি এগুলি নিয়ে কাজ করতে পারবো না৷ না হলে আবার এখানে আসতে হবে৷''

স্টুডিওয় ফিরে টেসা সঙ্গে সঙ্গে ডিমের পোচ সঠিক জায়গায় রাখলেন৷ ডিমের কুসুমই মূল বিষয়৷ প্রায় সার্জেনের মতো নিখুঁতভাবে সেটির মধ্যে রদবদল করেন তিনি৷ শুধু স্যান্ডউইচের ছবি তোলা খুবই সহজ কাজ৷ তার বদলে ডিমের কুসুমকে নেলপালিশে রূপান্তরিত করা হচ্ছে৷ কারণ একমাত্র অপ্রত্যাশিত কাহিনিই দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে৷ টেসা ডনিগা বলেন, ‘‘ছবির জন্য আদর্শ ডিমকে চকচকে হতে হবে, তার সুন্দর রং থাকতে হবে, পুড়ে গেলেও চলবে না৷ অবশ্যই পরেও আমরা ছবিতে ত্রুটি দূর করি৷ তা সত্ত্বেও যত চকমকে ও ভরপূর হবে, ততই ভালো৷''

প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ যাই হোক না কেন, টেসা ডনিগা-র তোলা কোনো ছবি দেখলে এমন আরও ছবি দেখতে ইচ্ছে করে৷

পাট্রিসিয়া সিলাগি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য