1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুলনায় নির্বাচনি সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা খুন, আহত ১৫

১৯ মার্চ ২০১১

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি৷ এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির ইমরান হোসেন৷ এছাড়া আরো অন্তত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10cco

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা সদরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় শনিবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ফকির ইমরান হোসেন৷ তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন৷ উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১৫ জন৷ এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুই জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তারা হলেন- মাহবুব মোল্যা ও সাহেব আলী৷ অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন৷

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুজ্জামান তাঁর সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগে বের হন৷ তারা তেরখাদা সদরের ঈদগাহ ময়দানের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়৷ এ সময় শহিদুল গ্রুপ গুলিবর্ষণ করলে ইমরানসহ ১০জন গুলিবিদ্ধ হন৷ ওহিদুজ্জামানের সমর্থকরা পাল্টা গুলি চালালে আরো ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন৷ ঘটনার পরপর ইমরানসহ গুরুতর আহত ৩ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান৷

তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শেখ শহিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক৷ এছাড়া অপর প্রার্থী এফএম ওহিদুজ্জামানও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা৷ এ দু'জনের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে৷ তিনি জানান, এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই