1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গঙ্গা নদীর দূষণ রোধের উদ্যোগ জার্মান পত্রিকায়

২৫ জুলাই ২০১০

ভারতের বৃহত্তম নদী গঙ্গা ধর্মপ্রাণ মানুষদের কাছে পবিত্র৷ কিন্তু একই সাথে তা হয়ে উঠেছে দূষণ আর আবর্জনার আধার৷ এই নদী বাঁচাতে পরিবেশ সংগ্রামী বীর ভদ্র মিশ্র উদ্যোগী হয়েছেন৷ তারই বিশদ উল্লেখ জার্মানির বাম দৈনিক পত্রিকায়৷

https://p.dw.com/p/OU5f
গঙ্গা ধর্মপ্রাণদের কাছে পবিত্রছবি: UNI

ভারত নতুন ধ্যানধারণা আর প্রচুর অর্থের সাহায্যে তার পবিত্রতম নদী গঙ্গার দূষণের মোকাবিলা করতে সচেষ্ট হয়েছে৷ এই চেষ্টার প্রেক্ষাপটে বেনারসের হনুমান মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত ও পরিবেশ সংগ্রামী বীর ভদ্র মিশ্রের জৈব নিষ্কাশন প্রকল্পের বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন নয়েস ডয়েচলান্ড পত্রিকার সংবাদদাতা হিলমার ক্যোয়েনিগ৷ মিশ্রের সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ওপর নির্ভর করে লেখা এই নিবন্ধে তিনি লিখছেন:

‘‘গঙ্গা আজ রুগ্ন''- অনুযোগ ভরা কন্ঠে বলে ওঠেন বীর ভদ্র মিশ্র৷ পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যোগ্যতার পরিচয় রেখেছেন তিনি৷ তাঁর ‘সংকট মোচন' ফাউন্ডেশনের মাধ্য দিয়ে তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পবিত্র বলে পরিচিত এই নদীকে আবর্জনা আর বিষাক্ত পদার্থের দূষণ থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আর এই কাজের জন্য তাঁর চেয়ে যোগ্যতর ব্যক্তি আর কেই বা হতে পারে৷ তিনি শুধু হনুমান মন্দিরের মুখ্য পুরোহিতই নন, পেশার দিক থেকে হাইড্রলিক ইন্জিনিয়ারও৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে তাঁর ফাউন্ডেশন নদীতে কোন্ কোন্ পদার্থ এসে মিশছে তার বিশ্লেষণ করেছে৷ এবং এই নদীর জলে পাওয়া গেছে সায়ানাইড, আর্সেনিক, সীসা, দস্তা, ক্রোমিয়াম, পারদ, কলেরা আর টাইফয়েডের জীবাণু, মলমূত্র, মৃতদেহের অংশ এবং মরা পশুপাখি৷ প্রতিদিন গঙ্গা নদী দূষিত করছে ১.২ বিলিয়ন লিটার বর্জ্য পানি৷ তা আসছে ১১৪টি শহরের মূলত কলকারখানা আর মাত্রাধিক রাসায়নিকে ঠাসা কৃষিখাত থেকে৷

নিবন্ধকার ক্যোয়েনিগ গঙ্গা নদী রক্ষায় মিশ্রের কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে লিখছেন:

ধীরে ধীরে গঙ্গা শোধনে তাঁর পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী জৈবপ্রকল্প দৃষ্টি আকর্ষণ করছে৷ তিনি বলেন, মানুষকে অবশ্যই একথাটা বুঝতে হবে যে নদীর মৃত্যু হলে মানুষেরও মৃত্যু৷ তাঁর আশা ‘জয় গঙ্গা মাই কি' ডাকটা কোন একদিন সত্যিই পূর্ণতা পাবে৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন