1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গদ্দাফি বললেন, তিনি ত্রিপোলিতেই আছেন

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গদ্দাফির এই বাইশ সেকেন্ডের আবির্ভাবে নমনীয়তার রেশমাত্র ছিল না৷ ওদিকে খবর যে, বিক্ষোভকারীরা একাধিক শহর দখল করে ফেলেছে, রাজধানী ত্রিপোলিতে ‘‘হত্যাকাণ্ডের’’ গুজব শোনা গেছে৷

https://p.dw.com/p/10LXo
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গদ্দাফির ঝরোখা দর্শনছবি: AP

আগে ব্রিটিশ সূত্রে গুজব ছড়িয়েছিল, গদ্দাফি নাকি লিবিয়া পরিত্যাগ করে ভেনেজুয়েলা অভিমুখে৷ তাই টেলিভিশনে গদ্দাফিকে দেখা গেল নিজের প্রাসাদে একটি গাড়িতে ওঠার মুখে৷ মাথার ওপর ছাতা ধরে আছেন এবং টিভি-দর্শকদের বলছেন,‘‘আমি দেখাতে চাই, আমি ত্রিপোলিতে, ভেনেজুয়েলায় নয়৷ রাস্তার কুকুরদের ঐ চ্যানেলগুলোকে বিশ্বাস করবেন না৷''

গদ্দাফি তার পরই পরই যোগ করেছেন, ‘‘আমি তো ত্রিপোলির সবুজ চত্বরের তরুণদের সঙ্গে জেগেই থাকতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু বৃষ্টি পড়তে শুরু করল৷'' সবুজ চত্বরে গদ্দাফি সমর্থকদেরই সমাবেশ হচ্ছিল৷

Libyen Tripolis abgebranntes Regierungsgebäude
সোমবার ত্রিপোলির ‘পিপলস হল’ থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছেছবি: AP

মোট কথা, বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এখন ত্রিপোলিতেও ছড়িয়েছে৷ বারংবার বন্দুকের গুলির আওয়াজ শোনা গেছে৷ বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ফাঁড়ি, রাষ্ট্রীয় বেতারভবন এবং একাধিক সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়েছে৷ অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা নাকি তাজুরায় বিক্ষোভকারীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে একটা হত্যাকাণ্ডের সৃষ্টি করেছে৷ আবার কোথাও ভাড়াটে আফ্রিকান সৈন্যদের হেলিকপ্টার থেকে নেমে গুলি চালানোর কথাও শোনা যাচ্ছে৷

শোনা যাচ্ছে চলতি বিক্ষোভে নাকি এযাবৎ ২০০ থেকে ৪০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ঠিক তাই নিয়ে৷ টিউনিশিয়া কি মিশরে যেরকম রক্তপাত ঘটলেও, একটা পর্যায়ে থেমে গেছে - লিবিয়া কি ইরানের ক্ষেত্রে, এমনকি বাহরাইন কি মরক্কোর ক্ষেত্রে সেটা আশা করা বোধহয় ভুল হবে৷ অন্যদিকে গদ্দাফিও জানেন যে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বলে একটা ব্যাপার রয়েছে৷ এবং এ'ধরণের অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজ অনেকদূর এগিয়েছে৷

Unruhen in Libyen
সোমবার আল-আরাবিয়ায় প্রদর্শিত এক আহত বিক্ষোভকারীর চিত্রছবি: picture-alliance/dpa

যদিও গদ্দাফির মূল আশঙ্কা সম্ভবত সেনাবিদ্রোহ নিয়ে, বেনগাজিতে যা নাকি ঘটেছে৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেও বলা হয়েছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানার'' সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে৷ স্বয়ং গদ্দাফি-পুত্র সঈফ আল-ইসলাম নাকি বলেছেন, লিবীয় সেনাবাহিনী শহরাঞ্চলের বাইরে অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডারের উপর আক্রমণ চালিয়েছে৷ গৃহযুদ্ধের ভয়ও দেখিয়েছেন এই সঈফ আল-ইসলাম৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক