1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গরিবদের তিন মাস বিনা পয়সায় চাল, ডাল

২৬ মার্চ ২০২০

করোনায় লকডাউন পুরো দেশ। এই অবস্থায় গরিবদের বাঁচাতে এগিয়ে এল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

https://p.dw.com/p/3a3qA
ছবি: picture-alliance/dpa/PTI/Twitter

আগামী তিন মাস ধরে ভারতে প্রতিটি গরিব পরিবার বিনা পয়সায় পাঁচ কেজি করে চাল ও এক কেজি ডাল পাবে। করোনায় লকডাউনের সময়ে গরিবরা যাতে অভুক্ত না থাকেন সে জন্য এই সময়োচিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে তারা আগের মতোই ২ টাকা কেজি দরে গম ও ৩ টাকা কেজি দরে চাল পাবেন। তার অতিরিক্ত বিনা পয়সায় এই চাল-গম দেবে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার মোট ৮০ কোটি গরিবকে সাহায্য করতে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পেরকথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

শুধু প্রতিটি গরিব পরিবারকে বিনা পয়সায় চাল-ডাল দেওয়াই নয়, সরকার একেবারে গরিব মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা তাঁদের জনধন অ্যাকাউন্টে দেবে। এর ফলে ২০ কোটি ৫০ লাখ মহিলা উপকৃত হবেন।  এই টাকাও তিনমাস দেওয়া হবে। তাছাড়া ৩ কোটি গরিব বিধবা, বিকলাঙ্গ ও প্রবীণ নাগরিককে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এপ্রিলের গোড়াতেই দেশের ৮ কোটি ৬৯ লাখ কৃষককে ২ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। দরিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলিকে আগামী তিন মাস গ্যাসের সিলিন্ডারও বিনা পয়সায় দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৫০ লাখ নার্স, প্যারা মেডিকেল কর্মী, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসককে বিশেষ স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে। গ্রামে একশ দিনের কাজ বা নারেগায় ন্যূনতম মজুরির পরিমাণও ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।

করোনা ঠেকাতে আচমকাই দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের গরিব মানষ। তাঁরা অধিকাংশই দিনমজুরের কাজ করেন। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। লকডাউনের ফলে তাঁরা অন্তত আগামী ১৫ এপ্রল পর্যন্ত কোনও কাজ পাবেন না। তারপরে অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই আবার কাজে ফিরতে পারবেন। ফলে সময় লাগবে। এই অবস্থায় অনেক শ্রমিকই দেখা দিল্লি থেকে পায়ে হেঁটে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা বা অন্য রাজ্যে নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন। বাড়ি ফিরতে তাঁদের এক থেকে তিন দিন লেগে যাচ্ছে। প্রায় অভুক্ত অবস্থায় তাঁদের চলতে হচ্ছে। বাড়ি ফিরেও তো অভুক্ত থাকতে হতে পারে। তাছাড়া দিল্লির বস্তি এলাকাতেও গরিবরা বিপাকে পড়েছেন। তাই তাঁদের সকলের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

যাঁরা সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, অথচ, খুব বেশি বেতন পান না, তাঁদের জন্যও সরকার কিছুটা সুবিধা দিচ্ছে। যে সব জায়গায় মোট কর্মীর সংখ্যা একশর বেশি নয় এবং কর্মীদের গড় বেতন ১৫ হাজার টাকা, সেখানে পরের তিন মাস সরকারই তাঁদের পিএফের টাকা দিয়ে দেবে। তাছাড়া তারা পিএফ থেকে ৭৫ শতাংশ বা তিন মাসের সমান বেতনের টাকা তুলতে পারবেন।

সীতারামন দাবি করেছেন, করোনায় লকডাউনের বাজারে কাউকে অভুক্ত থাকতে দেবে না সরকার। 

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)