1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গর্ভপাত নিয়ে আয়ারল্যান্ডে গণভোট

৩০ জানুয়ারি ২০১৮

দেশে সুযোগ নেই, তাই প্রতি বছর হাজার হাজার আইরিশ নারী বিদেশে যান গর্ভপাত ঘটাতে৷ এ অবস্থার অবসান চায় আয়ারল্যান্ড৷ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ নিয়ে আগামী মে মাসেই হবে গণভোট৷

https://p.dw.com/p/2rkIX
Irland Abtreibungsgegner
ছবি: PETER MUHLY/AFP/Getty Images

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আয়ারল্যান্ডেই গর্ভপাত বিষয়ের আইনটি সবচেয়ে কঠিন৷ সে আইনে বলা হয়েছে, সন্তানসম্ভবার জীবন হুমকির মুখে না পড়লে কোনোভাবেই অনাগত সন্তানকে পৃথিবীতে আসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷ অষ্টম সংশোনীর মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের সংবিধানে এমন একটি ধারা সংযোজন করা হয়, যাতে গর্ভধারিণী এবং অনাগত সন্তানকে জীবনধারণের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে৷

@dwnews: Irish woman live-tweets abortion trip to UK

সোমবার এক মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার জানান, ওই সংশোধনী বাতিল করা হবে কিনা, বাতিল করে গর্ভপাত বিষয়ক আইনকে আরো শিথিল করা হবে কিনা – এ নিয়ে গণভোট হবে আগামী মে মাসের শেষ দিকে৷ আয়ারল্যান্ডের নারীরা যেগর্ভপাতঘটাতে অহরহ বিদেশে পাড়ি জমান, নয়ত গর্ভপাতের বড়ি সেবন করেন, সেই সত্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘আয়ারল্যান্ডে এখনো গর্ভপাত হয়, তবে যেভাবে হয়, সেটা অনিরাপদ, বিধিবহির্ভূত, আইনের পরিপন্থি৷ আমি মনে করি, আমাদের  নিজেদের সমস্যাকে এভাবে আর রপ্তানি এবং সমাধানকে আমদানি হতে দেয়া ঠিক হবে না৷''

ছ'বছর আগেও আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাত একেবারে নিষিদ্ধ ছিল৷ ২০১২ সালে এক অন্তঃসত্ত্বা গর্ভপাত ঘটাতে চাইলেও তাঁকে সেই সুযোগ না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যান৷ দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ তখন আইন শিথিল করে জীবন শঙ্কার মুখে পড়লে নারীকে গর্ভপাত ঘটানোর সুযোগ দেয়া হয়৷

ধারণা করা হচ্ছে, গণভোট হলে আয়ারল্যান্ডের অধিকাংশ ভোটার  গর্ভপাতের পক্ষেইরায় দেবেন৷ সম্প্রতি এ নিয়ে দু'টি জনমত জরিপ  হয়েছে৷ জরিপ দু'টোর একটিতে শতকরা ৫১ ভাগ এবং অন্যটিতে শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষ বলেছেন, দেশে গর্ভপাত বিষয়ক আইনটির পরিবর্তন দরকার৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য