1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গল্ফ তারকা টাইগার উডসের বিবাহ বিচ্ছেদ

২৪ আগস্ট ২০১০

যৌন কেলেঙ্কারির পর ক্ষমা চাইলেন৷ পেশাদার গল্ফ থেকে কিছুদিন দূরেও থাকলেন৷ সময় দিলেন পরিবারকে৷ সম্ভবত ঘর রক্ষায় সবটুকু প্রচেষ্টা চালাতে ত্রুটি করেননি গল্ফ তারকা টাইগার উডস৷ কিন্তু এতোকিছুর পরও শেষ রক্ষা হলো না৷

https://p.dw.com/p/OuV7
US, Golf, profi, Tiger Woods, Elin Nordegren, যৌন কেলঙ্কারি, গল্ফ, তারকা, টাইগার উডস
টাইগার উডস এবং এলিন নর্ডেগ্রেন (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance / dpa

সোমবার সমঝোতামূলক বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন এই গল্ফ দম্পতি৷ নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন টাইগার উডস এবং এলিন নর্ডেগ্রেন৷ ফলে অবসান ঘটল ৩৪ বছর বয়সি উডস এবং ৩০ বছরের সুইডিশ মডেল নর্ডেগ্রেনের ছয় বছরের বৈবাহিক জীবনের৷ অবশ্য, তাঁদের তিন বছর বয়সি কন্যা স্যাম এবং এক বছরের পুত্র চার্লির সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করতে সম্মত উডস এবং নর্ডেগ্রেন৷

এমনকি যৌথ বিবৃতিতে একে অপরের জন্য শুভ কামনা করেছেন তাঁরা৷ যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা দুঃখের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানাচ্ছি এবং আমরা একে অপরের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি৷ আমরা চমৎকার দুই শিশুর জন্মদাতা এবং তাদের সুখ আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এবং আগামীতেও পাবে৷''

ঘটনার শুরু গত বছরের ২৭ নভেম্বর৷ ওরল্যান্ডোর বাড়ির কাছেই নিজের গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে৷ গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে একে একে বেরিয়ে আসে নিউইয়র্ক ক্লাব হোস্টেস থেকে শুরু করে পর্ন স্টার এবং লাসভেগাসের ক্লাব ব্যবস্থাপকসহ বেশ কিছু নারীর সাথে যৌন সম্পর্কের তথ্য৷ জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় এই গল্ফ তারকাকে৷ বাড়তে থাকে পারিবারিক দূরত্ব৷ এক পর্যায়ে গত জুলাই এর শুরুতে বিবাহ বিচ্ছেদ এর জন্য আদালতে আবেদন পেশ করেন নর্ডেগ্রেন৷ অবশেষে সোমবার উডস এবং নর্ডেগ্রেন উভয়ে হাজির হলেন ফ্লোরিডার পানামা সিটি আদালতে৷ পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করলেন এই তারকা দম্পতি৷

উল্লেখ্য, গত বছর টাইগার উডসের আয় হয়েছিল ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার৷ কিন্তু তাঁর যৌন কেলেঙ্কারির খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকে পেশাগত জীবনে ধস নামতে থাকে উডসের৷ তাই বিবাহ বিচ্ছেদের পর হয়তো পেশাগত জীবনে আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরে আসতে পারবেন উডস এমনটিই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম