1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে

৫ জুন ২০১০

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাত্রা করা আইরিশ জাহাজ ব়্যাচেল কোরির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী৷ শনিবার দীর্ঘ সময় অবরোধ করে রাখার পর জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইসরায়েল৷

https://p.dw.com/p/Niy8
জাহাজ ব়্যাচেল কোরি (ফাইল ফটো)ছবি: AP

উদ্যোগ নিয়েছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত মালয়েশিয়ার একটি সাহায্যসংস্থা ১২০০ টন ধারণ ক্ষমতার ব়্যাচেল কোরি জাহাজে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নেন বেশ কয়েকদিন আগে৷ আর এরই অংশ হিসাবে জাহাজটি চলতে শুরু করে গাজার দিকে৷ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী এই জাহাজটিতে আয়ারল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার ১১ জন ত্রাণকর্মী এবং ৮ জন ক্রু ছাড়াও রয়েছেন নোবেল শান্তি বিজয়ী মারিড কোরিগান এবং জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব ডেনিস হালিডে৷

আজ সকালে যা ঘটেছিল

শনিবার সকালে গাজা সমুদ্রসীমার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ত্রাণবাহী জাহাজটি ঘিরে ফেলে৷ প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এই জাহাজে রয়েছে সিমেন্ট৷ আর নির্মানকাজে ব্যবহার করা যায় এমন কোন কিছুই তারা নিয়ে যেতে দেবে না৷ আইরিশ ত্রাণজাহাজটিকে আটকে দেবার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগডর লিবারমান বলেছেন, ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন কোন জাহাজকেই তারা তাদের সীমান্তে পৌঁছানোর অনুমতি দেবে না৷

তারপর?

যেমনটা বলছেন তেমনটাই হয়েছে৷ চারদিক থেকে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলার পরও যখন সেটিকে থামানো যাচ্ছিলো না, তখনই কমান্ডো বাহিনী উঠে পড়ে জাহাজে৷ সরাসরি সারেঙ এর কাছ থেকে হুইলটি নিয়ে, ইঞ্জিন রুমে ঢুকে, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা৷ তারপর নির্দেশ: চলো ইসরায়েলি বন্দর অ্যাশডড-এ৷ সেখানে নোঙ্গর করার পর, যা সিদ্ধান্ত নেয়ার তা নেয়া হবে৷

NO FLASH Boote im Meer von Gaza
গাজা সমুদ্রসীমায় গাজাবাসীর প্রতিবাদ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কি বলছেন?

আর বিনা রক্তপাতে জাহাজ দখল এবং তাকে নিয়ে নিজ বন্দরের দিকে ছুটে চলার পর প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ইসরায়েলি সেনারা তাদের কাজটি করেছে৷ এর ফলে আগে তুরস্কের জাহাজটির উপর গোলাগুলির যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনা এবার ঘটেনি৷ কারণ হিসাবে নেতানিয়াহুর কথা হচ্ছে, তুরস্কের ঐ জাহাজে সন্ত্রাসীরা ছিল৷ তারা তাদের কাজে বাধা দিয়েছিল, করেছিল আক্রমণ৷ তিনি সেনাদেরকে অভিবাদনও জানিয়েছেন৷

জাহাজের যাত্রী এবং ত্রাণসামগ্রীর কি হবে?

উভয় বিষয়েই ইসরায়েলি সরকারী কর্মকর্তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ইসরায়েলি আইন অনুয়ায়ী যে সিদ্ধান্ত, তাই হবে৷ গত সোমবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গাজার দিকে যাত্রা করা তুরস্কের একটি জাহাজবহরে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি সেনারা ৯ ত্রাণকর্মীকে হত্যা করার পর আজকের আইরিশ জাহাজ আটকের খবরটি আসার পর তা নিশ্চিতভাবেই সকলের মনে অজানা আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে৷