গাজায় যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় গ্যাস মাস্ক

ইজরায়েলি সেনার কাঁদানে গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে নাকা ঢাকা প্লাস্টিক কাপের ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা৷ এতে সুগন্ধী আর তুলো ব্যবহার করা হচ্ছে৷

মেডিকেল মাস্ক, প্লাস্টিকের বোতল বা টি-শার্টের মতো অনেক কিছুই ব্যবহার করা হচ্ছে গ্যাসের দাপট কমাতে৷ এ সবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ৷ ইজরায়েল গাজা সীমান্তে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে পেঁয়াজ ভর্তি টায়ার তোলা হয়েছে৷ কিন্তু সশস্ত্র সেনার কাছে এটা কি টিকবে?

কাঁদানে গ্যাসের থেকে বাঁচতে ৪৮ বছরের এই ফিলিস্তিনি মহিলা প্লাস্টিকের বোতল আর পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘পেঁয়াজ দিয়ে গন্ধ কমানো গেলেও গ্যাস আটকানো যাবে না৷’’

টায়ার দিয়েও দিব্যি মুখোশ তৈরি করা হয়েছে এখানে৷ কেউ বলেন, আশির শতকের ফিলিস্তিনি কায়দা অনুসরণ করে এটা করা৷ কেউ বলেন, হলিউড চলচ্চিত্রই এই অনুপ্রেরণা৷

তুলো, কয়লা আর প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে নয়া মাস্ক বানিয়েছে এই ফিলিস্তিনি ছেলেটি৷ ঠান্ডা পানীয়ের ফাঁকা পাত্রটিতে তুলো, সুগন্ধী এবং কয়লা রেখেছে সে৷ অদূর ভবিষ্যতে সে হয়ত এ বিষয়ে আরও কৌশল দেখাতে পারে!

এই পুঁচকে আবার বাতাপি লেবু ব্যবহার করেছে মাস্ক তৈরিতে৷

চিকিৎসকরা বলছেন, এ সব ঘরোয়া উপায়ে মোটেই কাঁদানে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না! বরং নিছক মানসিক সান্ত্বনা হতে পারে! তবে কেউ খানিকটা সৃষ্টিশীল হতে এটা করেন, কেউবা নিজেকে অন্যরকম দেখানোর জন্য! ছবির ছোট্ট ছেলেটি তেমনই একটা উপায় বেছে নিয়েছে৷

অহরহ কাঁদানে গ্যাসের মুখোমুখি হয় যাদের, তাদের এমন কৌশল নিতেই হয়! শ্বাসের সঙ্গে যাতে কাঁদানে গ্যাস নিতে না হয়, সে জন্য উপায় বের করেছেন এই ফিলিস্তিনি তরুণী৷

এক বৃদ্ধও বাঁচার উপায় খুঁজেছেন প্লাস্টিকের বোতল আর পেঁয়াজে

চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত এই রমণীও মাস্ক ব্যবহার করছেন! তবে এটা কোনো অভিনব কায়দায় তৈরি মাস্ক নয়, স্রেফ মেডিকেল মাস্ক৷

শুধু পেশাগত কারণে না, কাঁদানে গ্যাসের থেকে নিরাপত্তার জন্য মেডিকেল মাস্ক বেছে নেওয়া হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই৷ এই ছেলেটিও তেমনটি ব্যবহার করছে৷