1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফির নেতৃত্বে সংস্কার করতে চায় লিবিয়া

৫ এপ্রিল ২০১১

‘বিচার মানি, কিন্তু তালগাছটা আমার৷’ এমনি অবস্থা এখন লিবিয়ার৷ দেশটির সরকারি মুখপাত্রের কথাবার্তায় এই ভাবই ফুটে উঠেছে৷ এদিকে বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় পরিষদকে স্বীকৃতি দিলো লিবিয়ার সাবেক শাসক দেশ ইটালি৷

https://p.dw.com/p/10nUF
ছবি: AP

সর্বশেষ পরিস্থিতি

পেন্টাগন জানিয়েছে যে, লিবিয়ায় অভিযানে থাকা মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ লিবিয়ার আকাশে আর কোনো আক্রমণ চালাবে না যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই দায়িত্ব চলে গেল ন্যাটোর কাছে৷ তবে ন্যাটো প্রয়োজন মনে করলে সেগুলো আবারো অভিযানে যেতে প্রস্তুত থাকবে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন৷

সরকারি মুখপাত্র

মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, লিবিয়ায় নির্বাচন হতে পারে৷ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য আলোচনা শুরু করা যেতে পারে৷ প্রয়োজনে সংবিধানেও পরিবর্তন আনা যেতে পারে৷ কিন্তু তাদের নেতা গাদ্দাফিকেই এসব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে৷ অর্থাৎ তাঁর কথা হলো, সবকিছুই সম্ভব, কিন্তু সেটা করবেন গাদ্দাফি৷ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, গাদ্দাফির তো কোনো পদ নেই, তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন কোথা থেকে? লিবীয় জনগণের কাছে গাদ্দাফির একটা প্রতীকী গুরুত্ব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ পশ্চিমা শক্তিকে উদ্দেশ্য করে ইব্রাহিম বলেন, লিবীয় জনগণের কী করা উচিত সেটা বলার আপনারা কে? গাদ্দাফির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ থাকার কারণে কয়েকজন পশ্চিমা নেতা তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায় বলে তিনি অভিযোগ করেন৷

ইটালির স্বীকৃতি

বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় পরিষদকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইটালি৷ ঘটনাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, লিবিয়ার প্রাক্তন শাসক দেশ হলো ইটালি৷ এর আগে ফ্রান্স ও একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে কাতার বিদ্রোহীদের পরিষদকে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷

আল কায়েদা

লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশ আলজিরিয়ার এক কর্মকর্তা বলছেন, লিবিয়ায় টালমাটাল পরিস্থিতির সুযোগে আল কায়েদা সেখান থেকে অস্ত্র নিয়ে নিচ্ছে৷ এর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি টের পেয়ে বিদ্রোহীদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

জাতিসংঘ

লিবিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত হলেন জর্ডানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেলিলাহ আল-খতিব৷ লিবিয়ায় তাঁর সাম্প্রতিক সফর সম্পর্কে তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে জানান৷ তিনি বলেন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লিবিয়ার অংশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে তেল ও গ্যাস বিক্রি করার অনুমতি চায় তারা৷ উল্লেখ্য, লিবিয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তেল, গ্যাস রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য