1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গির্জায় পণবন্দি নাটকের অবসান বাগদাদে, নিহত ৩৭

১ নভেম্বর ২০১০

ইরাকে খৃস্টীয় একটি গির্জায় রক্তক্ষয়ী পণবন্দি নাটকের শেষ হল অন্তত ৩৭টি মৃত্যুতে৷ নিহতদের মধ্যে পঁচিশজনই পণবন্দি৷ রয়েছে কিছু হামলাকারীও৷

https://p.dw.com/p/PvDF
বাগদাদের গির্জাগুলি মোটেই সুরক্ষিত নয়৷ ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ dpa

কোথায় কখন ঘটল এই হামলা

রাজধানী বাগদাদের লেডি অব স্যালভেশন গির্জায় রবিবার সন্ধ্যায় একটি বিশেষ ক্যাথলিক প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছিল৷ প্রার্থনায় যোগ দিতে আসেন প্রায় একশো খ্রিস্টান৷ গির্জাটির ঠিক পাশেই স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে প্রথমে হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গিরা৷ পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা পাশের গির্জায় ঢুকে পড়ে এবং গির্জার দখল নিয়ে নেয়৷ গির্জার ভিতর পণবন্দি হয়ে আটকে পড়েন প্রার্থনায় যোগদানকারীরা৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরাপত্তাবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে এবং গির্জাটিকে ঘিরে অবস্থান নেয়৷ এরপর গুলির লড়াই শুরু হয় দুপক্ষে৷

শেষ পর্যন্ত সব পণবন্দি মুক্তি পেলেন না

সকলের মুক্তি হল না৷ গির্জার দখল ফিরে পেতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে অন্তত পঁচিশজন পণবন্দির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে পুলিশ৷ ইরাকি সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্যও নিহত হয়েছেন৷ আর বাকি দেহগুলি জঙ্গিদের৷ গুলিবিনিময়ে অন্তত পঞ্চাশজন আহত বলে জানা গেছে৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য

গির্জার ভিতর থেকে দুটো বড়মাপের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ এছাড়াও তাঁরা শুনেছেন গুলির শব্দ৷ মাথার ওপরে মার্কিন সেনা হেলিকপ্টারকে চক্বর দিতে দেখার কথাও জানিয়েছেন অনেকে৷ মাটিতেও মার্কিন সেনাবাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে৷ তবে মার্কিন বাহিনী এই লড়াইতে সেভাবে অংশ নেয়নি বলেই জানা গেছে মোটের ওপর৷

হামলার নেপথ্যে কারা

স্থানীয় একটি টিভি স্টেশন আল বাগদাদিয়া জানিয়েছে, তাদের দপ্তরে অজানা এক কন্ঠ গির্জায় হামলাকারীদের একজন বলে নিজের পরিচয় দিয়ে ফোন করেছিল৷ ওই ব্যক্তিই টিভি চ্যানেলকে জানায় তারা সকলে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক নামের একটি সুন্নি সংগঠনের সদস্য৷ আল কায়েদার ছায়ায় থাকা এই সুন্নি সংগঠনটির নাম আগেও শোনা গেছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম