1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৫০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা!

২২ জানুয়ারি ২০১৯

‘গুগল’-এ কি ব্যক্তিগত তথ্য আদৌ নিরাপদ? ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগে বিশাল অঙ্কের জরিমানা হলো ‘গুগল’-এর৷

https://p.dw.com/p/3Bx5y
Auge mit Google Logo auf Iris
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/M. Weber

আপনি কি জানেন ঠিক কীভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করছে ‘গুগল' ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা? তাদের হাতে কি আসলেই নিরাপদ আপনাদের পছন্দের ছবি, ভিডিও, সিনেমা, গান, খাবার ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য? এই প্রশ্নগুলিকে সামনে রেখেই বর্তমানে ইউরোপে শুরু হয়েছে তথ্যসুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা৷

শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন ছড়ানোর অভিযোগে গুগল ও এ ধরনের অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলোতে সমালোচনা হচ্ছে৷ সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি আদেশে গুগলকে জরিমানা দেবার কথা বলা হয়৷

গুগল-এর কী অপরাধ?

২০১৭ সালে গুগলের মোট আয় ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি৷ এর একটি বিশাল অংশ আসে বিজ্ঞাপন থেকে৷ গুগল বা ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলি সাধারণত ব্যবহারকারীর তথ্যের ভিত্তিতে ‘পার্সোনালাইজ' করে বিজ্ঞাপন দেখায়৷ কিন্তু তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনাগুলি বিজ্ঞাপন দেখানোর এই প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলছে৷

জানা যাচ্ছে, ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের তথ্য ব্যবহার করে এই বিজ্ঞাপনগুলি দিয়েছে গুগল৷ এমন অস্বচ্ছতার অভিযোগে ফ্রান্সের তথ্যনিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘সিএনআইএল' মার্কিন সংস্থা ‘গুগল'কে ৫০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের জরিমানার ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি এই অভিযোগ নতুন?

অতীত কী বলে?

২০১৮ সালের মে মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে আসে নতুন তথ্যসুরক্ষা আইন ‘জিডিপিআর’৷ এই আইন প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের তথ্যের মালিকানা ও অধিকারস্বচ্ছভাবে তুলে ধরা৷ নতুন এই আইন বলে, কোনো সংস্থা এই দায়িত্ব পালন না করতে পারলে তাকে দিতে হতে পারে মোট আয়ের চার শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ৷

গত মাসে এই দায় সঠিকভাবে পালন না করতে পারায় ফেসবুককে দশ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হয় ইটালিতে৷

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ইউরোপে একাধিক অ্যাক্টিভিস্ট সংস্থা ইন্টারনেটে তথ্যসুরক্ষা ও ক্রেতাদের উন্নত অধিকার বিষয়ে লড়াই করছে৷ ফেসবুক, গুগলের মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে তারা৷

এমনই এক অভিযোগের তদন্তের ফল ফ্রান্সে সাম্প্রতিক এই ৫০ মিলিয়ন ইউরোর জরিমানা৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স/ডিপিএ)